ঢাকা ০৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালখালী উপজেলা ও পৌরসভা গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের জশনে জুলুছ পালিত। Logo সরকারি  ভাতার কার্ড দেওয়ার নামে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ Logo অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান বাড়লেও কমছে কর্মসংস্থান Logo সাইবার নিরাপত্তা আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কপি পেস্ট: টিআইবি Logo চট্টগ্রাম কালুরঘাট অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন দুইশতাধিক যাত্রী Logo পুলিশ কমিশনার জনাব কৃষ্ণ পদ রায়,বায়েজিদ থানা দ্বি-বার্ষিক পরিদর্শন করেন। Logo শোক দিবসে জেলা প্রশাসনের র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo এম.ইউছুপ রেজা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আহবায়ক নির্বাচিত Logo সমাবর্তনের জন্য ৫ বছরেও বরাদ্দ রাখেনি চবি Logo পটিয়ার নিমতলে ১০দিন ব্যাপী শোহাদায়ে কারবালা মাহফিলের ৮ম দিবস বুধবার
ই-পেপার দেখুন

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৬:৪৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৮০২ বার পঠিত

কালেরপত্র ডেষ্ক :

যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিশ্বমানের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চায় বাংলাদেশ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মান, মূল্য ও ডিজাইন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে, এর কারণে রপ্তানি বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়ার লাস ভেগাস কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘মেনস অ্যাপারেল গিল্ড ইন ক্যালিফোর্নিয়া’ শীর্ষক বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রপ্তানি আয়ের ৮৩.৫ ভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি করতে ও মেড ইন বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকার চলমান কোভিড-১৯ (করোনা) পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক সেক্টরকে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে এবং এ সেক্টরকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সেক্টরে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে এবং এর বেশিরভাগই নারী। নারীর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বিশেষ অবদান রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য উন্নত মান, নতুন ডিজাইন, গ্রাহকের পছন্দ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সব ধরনের ডাটা, প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হবে। ২০১২ সালে অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে ও টেকসই উন্নয়ন ঘটেছে। বিশ্বের তৈরি পোশাক খাতের বেশিরভাগ গ্রিন ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে।

টিপু মুনশি বলেন, নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা কাজ করছে। আমি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাচ্ছি- বাংলাদেশ সফর করে তৈরি পোশাক খাতের ফ্যাক্টরি ও শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ দেখুন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমান বজায় রেখে নিরাপদ পরিবেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো চালাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সেক্টরের কাজের মান, উৎপাদন খরচ, শ্রমিকদের কমপ্লায়েন্স, কাজের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবা এবং টেকসই উন্নয়নে এগিয়ে যাবার বিষয়ে জানার ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিষয়ে ডাটা, প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত, তৈরি পোশাকশিল্পের ইতিহাস আরো জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বাজারজাতকরণের বিষয়ে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর, সফররত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সোহেলী সাবরীন, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার রফিকুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী বব বার্গ, ইনফর্মার কমার্শিয়াল প্রেসিডেন্ট মিস কেলি হেল্পম্যান, মেলার ইভেন্ড ডিরেক্টর আনড্রেও ডেভিড, ও ব্যবসায়ী ড. সিনদে জে.লিন।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

বোয়ালখালী উপজেলা ও পৌরসভা গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের জশনে জুলুছ পালিত।

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বাড়াতে চায় বাংলাদেশ

আপডেট সময় ০৬:৪৮:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

কালেরপত্র ডেষ্ক :

যুক্তরাষ্ট্রে সফররত বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বিশ্বমানের তৈরি পোশাকের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে চায় বাংলাদেশ। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের মান, মূল্য ও ডিজাইন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হচ্ছে, এর কারণে রপ্তানি বাড়ছে।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রে ক্যালিফোর্নিয়ার লাস ভেগাস কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত ‘মেনস অ্যাপারেল গিল্ড ইন ক্যালিফোর্নিয়া’ শীর্ষক বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান রপ্তানি আয়ের ৮৩.৫ ভাগ আসে তৈরি পোশাক থেকে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার রপ্তানি বৃদ্ধি করতে ও মেড ইন বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে জনপ্রিয় করে তোলার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সরকার চলমান কোভিড-১৯ (করোনা) পরিস্থিতিতে তৈরি পোশাক সেক্টরকে প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে এবং এ সেক্টরকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সেক্টরে প্রায় ৪৫ লাখ শ্রমিক কাজ করছে এবং এর বেশিরভাগই নারী। নারীর কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত বিশেষ অবদান রাখছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। আমরা এ সুযোগকে কাজে লাগাতে চাই। এজন্য উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। এজন্য উন্নত মান, নতুন ডিজাইন, গ্রাহকের পছন্দ ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের চাহিদা মোতাবেক সব ধরনের ডাটা, প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়া হবে। ২০১২ সালে অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে যুগান্তকারী পরিবর্তন এসেছে ও টেকসই উন্নয়ন ঘটেছে। বিশ্বের তৈরি পোশাক খাতের বেশিরভাগ গ্রিন ফ্যাক্টরি এখন বাংলাদেশে।

টিপু মুনশি বলেন, নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের শ্রমিকরা কাজ করছে। আমি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাচ্ছি- বাংলাদেশ সফর করে তৈরি পোশাক খাতের ফ্যাক্টরি ও শ্রমিকদের কাজের পরিবেশ দেখুন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বমান বজায় রেখে নিরাপদ পরিবেশে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো চালাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক সেক্টরের কাজের মান, উৎপাদন খরচ, শ্রমিকদের কমপ্লায়েন্স, কাজের পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসেবা এবং টেকসই উন্নয়নে এগিয়ে যাবার বিষয়ে জানার ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ প্রকাশ করেন। তারা বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বিষয়ে ডাটা, প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত, তৈরি পোশাকশিল্পের ইতিহাস আরো জানার আগ্রহ প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বাজারজাতকরণের বিষয়ে তারা সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস এঞ্জেলসে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ও কমার্শিয়াল কাউন্সিলর, সফররত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক সোহেলী সাবরীন, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ’র ভাইস প্রেসিডেন্ট খন্দকার রফিকুল ইসলাম, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী বব বার্গ, ইনফর্মার কমার্শিয়াল প্রেসিডেন্ট মিস কেলি হেল্পম্যান, মেলার ইভেন্ড ডিরেক্টর আনড্রেও ডেভিড, ও ব্যবসায়ী ড. সিনদে জে.লিন।