ঢাকা ০২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ৯ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ই-পেপার দেখুন

অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান বাড়লেও কমছে কর্মসংস্থান

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৯:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩
  • ৫৯১ বার পঠিত

মো. মাসুম বিল্লাহ: একটি দেশের অর্থনীতি যখন সামনের দিকে অগ্রসর হয়, তখন অর্থনীতিতে কৃষি খাতের প্রভাব কমতে থাকে। এর বিপরীতে সেবা খাত ও শিল্প খাতের অবদান বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণকাল অতিক্রম করছে। এর পাশাপাশি উচ্চমাধ্যম আয়ের দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বিপরীতে অর্থনীতিতে হ্রাস পাচ্ছে কৃষি খাতের অবদান। অর্থনীতিতে যে খাতের অবদান বৃদ্ধি পেতে থাকে, স্বভাবতই সে খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান বাড়লেও কমছে কর্মসংস্থান। অন্যদিকে কৃষির অবদান কমলেও সেখানে বাড়ছে কর্মসংস্থান।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদান্তে সেটির বাস্তবায়ন পরিস্থিতির ওপর পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। আর এ বিষয়টি অর্থনীতির বিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

মূল্যায়ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৪-১৫ ভিত্তিবছরে দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ১৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। ওই সময় মোট কর্মসংস্থানের ৪৫ দশমিক এক শতাংশ ছিল কৃষি খাতে। এরপর সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ বছর ২০২০ সালের জুনে দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান নেমে আসে ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশে। অর্থনীতিতে কৃষির অবদান হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে কৃষি খাতে কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৩৩ শতাংশে। অথচ স্বাভাবিক নিয়মে এটি হ্রাস পাওয়ার কথা ছিল। এর মাঝে ২০১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপে দেখা যায়, কৃষিতে কর্মসংস্থানের হার হ্রাস পেয়েছে। ওই সময় দেখা যায় মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে কৃষি খাতে ছিল ৪০ দশমিক ছয় শতাংশ। কাজেই এটি ধীরে ধীরে আরও হ্রাস পাওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো এ খাতে কর্মসংস্থান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৪-১৫ সময়ে অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান ছিল ২৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে শিল্প খাতের অংশ ছিল ২০ দশমিক আট শতাংশ। ২০২০ সালের মাঝামাঝি অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান ৩০ দশমিক ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়। কিন্তু এর বিপরীতে শিল্পে বাড়েনি কর্মসংস্থান, উল্টো হ্রাস পেয়েছে। জিইডির মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের সর্বশেষ শ্রমশক্তির জরিপ থেকে দেখা যায়, মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে শিল্প খাতের অংশ হ্রাস পেয়ে ২০ দশমিক তিন শতাংশ হয়েছে। এখানে আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুসারে ওই সময় ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে শ্রমশক্তির অংশ ছিল ১৬ দশমিক চার শতাংশ। ২০১৭ সালে এটি হ্রাস পেয়ে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসে। আর বর্তমানে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি কেমন, সে বিষয়ে মূল্যায়ন প্রতিবেদনে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। অর্থনীতিতে যে খাতের অবদান বাড়ছে, সেখানে কর্মসংস্থান হ্রাস পাওয়া এবং যে খাতের অবদান হ্রাস পাচ্ছে, সেখানে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির এমন বৈপরীত্যের বিষয়ে জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বা সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

কর্মস্থানের এমন বিপরীত চিত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শেয়ার বিজকে বলেন, ‘একটি অর্থনীতি যখন সামনের দিকে অগ্রসর হয়, তখন অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এটি খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে কৃষির অবদান হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও সেখানে কর্মসংস্থান বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো শিল্প ও সেবা খাতে কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়া। আর কৃষিতে যে কর্মসংস্থান বাড়ছে, তা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে সেখানে মহিলাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে এবং কৃষিতে নিযুক্ত শ্রমশক্তির উৎপাদনশীলতা ও রোজগার কম।’

শিল্প খাতের অবদান বাড়া সত্ত্বেও সেখানে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সুদের হার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রাখার ফলে দেশে যে শিল্পায়ন হয়েছে, তা মূলত পুঁজিঘন শিল্পায়ন হয়েছে, শ্রমঘন হয়নি। এটি শিল্পে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ।’

তবে এ দুটি খাতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হলেও অর্থনীতিতে সেবা খাতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও এ খাতে কর্মসংস্থানের হার অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ সময়ে অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান ছিল ৫৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ওই সময়ে এ খাতের কর্মসংস্থানের অংশ ছিল ৩৪ দশমিক এক শতাংশ। আর ২০২০ সালে অর্থনীতিতে সেবা খাতের অবদান দাঁড়ায় ৫৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে এ খাতে বর্তমানে কর্মসংস্থানের অংশ ৩৯ দশমিক তিন শতাংশ।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

স্মার্ট পৌরসভা গড়তে সকলের সহযোগিতা চায়লেন পৌরমেয়র জহুর 

অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান বাড়লেও কমছে কর্মসংস্থান

আপডেট সময় ০৯:১৫:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

মো. মাসুম বিল্লাহ: একটি দেশের অর্থনীতি যখন সামনের দিকে অগ্রসর হয়, তখন অর্থনীতিতে কৃষি খাতের প্রভাব কমতে থাকে। এর বিপরীতে সেবা খাত ও শিল্প খাতের অবদান বাড়তে থাকে। বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণকাল অতিক্রম করছে। এর পাশাপাশি উচ্চমাধ্যম আয়ের দেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে শিল্প ও সেবা খাতের অবদান বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর বিপরীতে অর্থনীতিতে হ্রাস পাচ্ছে কৃষি খাতের অবদান। অর্থনীতিতে যে খাতের অবদান বৃদ্ধি পেতে থাকে, স্বভাবতই সে খাতে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান বাড়লেও কমছে কর্মসংস্থান। অন্যদিকে কৃষির অবদান কমলেও সেখানে বাড়ছে কর্মসংস্থান।

সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মেয়াদান্তে সেটির বাস্তবায়ন পরিস্থিতির ওপর পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) মূল্যায়ন প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। আর এ বিষয়টি অর্থনীতির বিবর্তনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

মূল্যায়ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৪-১৫ ভিত্তিবছরে দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান ছিল ১৫ দশমিক ৫১ শতাংশ। ওই সময় মোট কর্মসংস্থানের ৪৫ দশমিক এক শতাংশ ছিল কৃষি খাতে। এরপর সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ বছর ২০২০ সালের জুনে দেশের অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান নেমে আসে ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশে। অর্থনীতিতে কৃষির অবদান হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও বর্তমানে কৃষি খাতে কর্মসংস্থানের হার বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫ দশমিক ৩৩ শতাংশে। অথচ স্বাভাবিক নিয়মে এটি হ্রাস পাওয়ার কথা ছিল। এর মাঝে ২০১৭ সালের শ্রমশক্তি জরিপে দেখা যায়, কৃষিতে কর্মসংস্থানের হার হ্রাস পেয়েছে। ওই সময় দেখা যায় মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে কৃষি খাতে ছিল ৪০ দশমিক ছয় শতাংশ। কাজেই এটি ধীরে ধীরে আরও হ্রাস পাওয়ার কথা। কিন্তু তা না হয়ে উল্টো এ খাতে কর্মসংস্থান আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

২০১৪-১৫ সময়ে অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান ছিল ২৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে শিল্প খাতের অংশ ছিল ২০ দশমিক আট শতাংশ। ২০২০ সালের মাঝামাঝি অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান ৩০ দশমিক ৮২ শতাংশে উন্নীত হয়। কিন্তু এর বিপরীতে শিল্পে বাড়েনি কর্মসংস্থান, উল্টো হ্রাস পেয়েছে। জিইডির মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের সর্বশেষ শ্রমশক্তির জরিপ থেকে দেখা যায়, মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে শিল্প খাতের অংশ হ্রাস পেয়ে ২০ দশমিক তিন শতাংশ হয়েছে। এখানে আরও আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থান ব্যাপকহারে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য অনুসারে ওই সময় ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে শ্রমশক্তির অংশ ছিল ১৬ দশমিক চার শতাংশ। ২০১৭ সালে এটি হ্রাস পেয়ে ১৪ দশমিক ৪ শতাংশে নেমে আসে। আর বর্তমানে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি কেমন, সে বিষয়ে মূল্যায়ন প্রতিবেদনে কিছুই উল্লেখ করা হয়নি। অর্থনীতিতে যে খাতের অবদান বাড়ছে, সেখানে কর্মসংস্থান হ্রাস পাওয়া এবং যে খাতের অবদান হ্রাস পাচ্ছে, সেখানে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির এমন বৈপরীত্যের বিষয়ে জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বা সরকারের নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

কর্মস্থানের এমন বিপরীত চিত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সংগঠন সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ও এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য শেয়ার বিজকে বলেন, ‘একটি অর্থনীতি যখন সামনের দিকে অগ্রসর হয়, তখন অর্থনীতিতে কৃষি খাতের অবদান ধীরে ধীরে কমতে থাকে। এটি খুবই স্বাভাবিক বিষয়। তবে কৃষির অবদান হ্রাস পাওয়া সত্ত্বেও সেখানে কর্মসংস্থান বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো শিল্প ও সেবা খাতে কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি না হওয়া। আর কৃষিতে যে কর্মসংস্থান বাড়ছে, তা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে সেখানে মহিলাদের কর্মসংস্থান বাড়ছে এবং কৃষিতে নিযুক্ত শ্রমশক্তির উৎপাদনশীলতা ও রোজগার কম।’

শিল্প খাতের অবদান বাড়া সত্ত্বেও সেখানে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি না পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সুদের হার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় আটকে রাখার ফলে দেশে যে শিল্পায়ন হয়েছে, তা মূলত পুঁজিঘন শিল্পায়ন হয়েছে, শ্রমঘন হয়নি। এটি শিল্পে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার আরেকটি কারণ।’

তবে এ দুটি খাতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হলেও অর্থনীতিতে সেবা খাতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। অর্থনীতিতে এ খাতের অবদান মোটামুটি স্থিতিশীল থাকলেও এ খাতে কর্মসংস্থানের হার অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৪-১৫ সময়ে অর্থনীতিতে শিল্প খাতের অবদান ছিল ৫৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ওই সময়ে এ খাতের কর্মসংস্থানের অংশ ছিল ৩৪ দশমিক এক শতাংশ। আর ২০২০ সালে অর্থনীতিতে সেবা খাতের অবদান দাঁড়ায় ৫৫ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর ২০২২ সালের শ্রমশক্তি জরিপ অনুসারে এ খাতে বর্তমানে কর্মসংস্থানের অংশ ৩৯ দশমিক তিন শতাংশ।