ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ৬ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোর আওতা সংশোধন Logo বোয়ালখালী শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী Logo উন্নয়ন কাজের বরাদ্ধ ও বাস্তবায়নের হার ছবিসহ জমা দিতে হবেঃ জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা Logo বাগমনিরাম ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি আজিম, সম্পাদক বাবু Logo ২০১৪ সালের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী Logo ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি। Logo আমেরিকার বড় বিপদ হতে পারে সারগাসাম Logo নৌকার জয় দুই উপজেলায় Logo আহলা দরবার শরীফে হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ)’র ওরশ শরীফ আজ Logo রোজায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ
ই-পেপার দেখুন

দেশেই হবে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক চিকিৎসা: অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৬ আগস্ট ২০২১
  • ৮৫৬ বার পঠিত

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বিএসএমএমইউ) উপাচার্য হিসেবে আপনার অনুভূতি…
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। এ ধরনের পদের প্রতি আমার কখনওই কোনো লোভ ছিল না, এখনও নেই। সবার সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষায়, সেবায় ও গবেষণায় এগিয়ে নিতে চাই। স্পেশালাইজড এ হাসপাতালে সেবা নিতে এসে রোগীকে অন্য কোনো জায়গায় যেতে হবে না। হাসপাতালের ভেতরেই থাকবে কনভেনিয়েন্স শপ, ব্যাংকিং সুবিধা, ফার্মেসি, ৩৫০ সিটের উন্নত কিচেন, যার আওতায় তিনটি ক্যাফেটেরিয়া থাকবে। থাকবে ডক্টরস ক্যাফেটেরিয়া, উন্নত লন্ড্রি হাউসসহ কার পার্কিংয়ের সুবিধা। থাকবে ভিভিআইপি এলিভেটরসহ ১৬টি এলিভেটর ও একটি এস্কেলেটর, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, হিটিং, ভেন্টিলেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম।
প্রশ্ন: বিএসএমএমইউ চিকিৎসা ও গবেষণার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের কাছে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। উপাচার্য হিসেবে সেই প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পারবেন?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই একটি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। এটি চালু হলে দেশের চিকিৎসা ও গবেষণা আরও সমৃদ্ধ হবে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে কোনো রোগীকে যেন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে না হয়। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। আমাদের চিকিৎসকরা অনেক দক্ষ ও সমৃদ্ধ। যেকোনো দেশের চিকিৎসকের চেয়ে তারা কোনো অংশে কম নয়। সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে করোনা। আমরা চাইব এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নততর করতে। একটা সময় লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, হার্ট সার্জারির জন্য অসংখ্য লোক বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে যেতেন। কিন্তু এখন আর যান না। কারণ, আমাদের চিকিৎসকরা এখন দক্ষতার সঙ্গে এসব রোগের চিকিৎসা দেশে করছেন। ভবিষ্যতেও যেন না যান, সেজন্য আরও বেশি দক্ষ চিকিৎসক আমরা তৈরি করতে চাই। তাদের আন্তর্জাতিক মানের উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে রোগীদের সেবা দিতে চাই।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে মানুষ কী কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি হবে ১২০০ বেডের অত্যাধুনিক হাসপাতাল। সারাবিশ্বের লেটেস্ট যত চিকিৎসা ও প্রযুক্তি রয়েছে, সব আমাদের এখানে থাকবে। আমাদের পাশের বিভিন্ন দেশে লিভার, কিডনি এমনকি হার্ট ট্রান্সপ্লান্টও হয়। আবার কোথাও কোথাও ক্যাডাভারিক কিডনি অর্থাৎ যে রোগী আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন, তার কিডনিও ট্রান্সপ্লান্ট করা যায়। যেটা আমাদের দেশে এখনও চালু হয়নি, ভবিষ্যতে হবে। তারপর কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্ট, ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টসহ লেটেস্ট আরও যত চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর সব আমাদের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতলে থাকবে। সেখানে চিকিৎসা যারা দেবেন তারা দেশে ও বিদেশে আরও উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে আসবেন। তাদের জন্য আমরা সেই ব্যবস্থা রাখব।
প্রশ্ন: সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি মানুষের একধরনের আস্থাহীনতা রয়েছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেকয়টি ইনস্টিটিউট আছে, আমি মনে করি এগুলোতে খুবই উন্নত মানের চিকিৎসা হয়। ভালো চিকিৎসা হয় না, সেটা বলা যাবে না। যদি তাই হয়, তাহলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আট থেকে নয় হাজার রোগী প্রতিদিন কেন আসছে? সুতরাং সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা হয় না, কথাটি বললে ভুল হবে।
প্রশ্ন: প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য রোগী চিকিৎসা নিতে অন্য দেশে চলে যান। এটা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় কি না?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : এটা আইন করে বন্ধ করা যায় না। আমি মনে করি, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন যে পর্যায়ে আছে, সেটা অবশ্যই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়ে কম নয়। কারণ, করোনার সময়ই দেখেন, কেউ কিন্তু চিকিৎসা নিতে যাননি। দেশেই তারা চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ আছেন। তার মানে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে আমরা সব চিকিৎসাই দিতে পারি। কারণ, দেশেই উন্নত বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে এসেও বিভিন্ন দেশের রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে যান।
প্রশ্ন: বিভিন্ন সময় উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর আসে। এসব বিষয়ে আপনার ভূমিকা কী হবে?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : আমি মনে করি, যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের মূল্যায়নটাও সঠিকভাবে হওয়া উচিত। আমিও যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করি, সেক্ষেত্রে আমাকেও সজাগ থাকতে হবে।
প্রশ্ন: বিএসএমএমইউতে একদিকে করোনা রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ রোগীদেরও চিকিৎসা অব্যাহত আছে। কীভাবে এতকিছু সামলাচ্ছেন?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : আমাদের যে করোনা ইউনিট আছে সেখানে এত রোগী বেড়েছে যে কেবিনগুলোতে কোনো জায়গা নেই। আবার করোনা ছাড়াও অন্য রোগীদের চিকিৎসা চলছে। আমরা আলাদাভাবে দুটোরই ব্যবস্থাপনা করছি।
(অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বিএসএমএমইউ উপাচার্য )

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

two + fourteen =

ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোর আওতা সংশোধন

দেশেই হবে বিশ্বমানের সর্বাধুনিক চিকিৎসা: অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫১ পূর্বাহ্ণ, সোমবার, ১৬ আগস্ট ২০২১

প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ( বিএসএমএমইউ) উপাচার্য হিসেবে আপনার অনুভূতি…
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : অনুভূতি আসলে ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। এ ধরনের পদের প্রতি আমার কখনওই কোনো লোভ ছিল না, এখনও নেই। সবার সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষায়, সেবায় ও গবেষণায় এগিয়ে নিতে চাই। স্পেশালাইজড এ হাসপাতালে সেবা নিতে এসে রোগীকে অন্য কোনো জায়গায় যেতে হবে না। হাসপাতালের ভেতরেই থাকবে কনভেনিয়েন্স শপ, ব্যাংকিং সুবিধা, ফার্মেসি, ৩৫০ সিটের উন্নত কিচেন, যার আওতায় তিনটি ক্যাফেটেরিয়া থাকবে। থাকবে ডক্টরস ক্যাফেটেরিয়া, উন্নত লন্ড্রি হাউসসহ কার পার্কিংয়ের সুবিধা। থাকবে ভিভিআইপি এলিভেটরসহ ১৬টি এলিভেটর ও একটি এস্কেলেটর, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা, হিটিং, ভেন্টিলেশন ও এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেম।
প্রশ্ন: বিএসএমএমইউ চিকিৎসা ও গবেষণার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানের কাছে সাধারণ মানুষের অনেক প্রত্যাশা। উপাচার্য হিসেবে সেই প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে পারবেন?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়েই একটি সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল তৈরি হচ্ছে। এটি চালু হলে দেশের চিকিৎসা ও গবেষণা আরও সমৃদ্ধ হবে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে কোনো রোগীকে যেন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে না হয়। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা অনেক উন্নত। আমাদের চিকিৎসকরা অনেক দক্ষ ও সমৃদ্ধ। যেকোনো দেশের চিকিৎসকের চেয়ে তারা কোনো অংশে কম নয়। সেটি প্রমাণ করে দিয়েছে করোনা। আমরা চাইব এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা আরও উন্নততর করতে। একটা সময় লিভার ট্রান্সপ্লান্ট, হার্ট সার্জারির জন্য অসংখ্য লোক বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে যেতেন। কিন্তু এখন আর যান না। কারণ, আমাদের চিকিৎসকরা এখন দক্ষতার সঙ্গে এসব রোগের চিকিৎসা দেশে করছেন। ভবিষ্যতেও যেন না যান, সেজন্য আরও বেশি দক্ষ চিকিৎসক আমরা তৈরি করতে চাই। তাদের আন্তর্জাতিক মানের উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে রোগীদের সেবা দিতে চাই।
প্রশ্ন: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালে মানুষ কী কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাবেন?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি হবে ১২০০ বেডের অত্যাধুনিক হাসপাতাল। সারাবিশ্বের লেটেস্ট যত চিকিৎসা ও প্রযুক্তি রয়েছে, সব আমাদের এখানে থাকবে। আমাদের পাশের বিভিন্ন দেশে লিভার, কিডনি এমনকি হার্ট ট্রান্সপ্লান্টও হয়। আবার কোথাও কোথাও ক্যাডাভারিক কিডনি অর্থাৎ যে রোগী আইসিইউতে মৃত্যুবরণ করতে যাচ্ছেন, তার কিডনিও ট্রান্সপ্লান্ট করা যায়। যেটা আমাদের দেশে এখনও চালু হয়নি, ভবিষ্যতে হবে। তারপর কর্নিয়া ট্রান্সপ্লান্ট, ককলিয়ার ইমপ্ল্যান্টসহ লেটেস্ট আরও যত চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে, সেগুলোর সব আমাদের সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতলে থাকবে। সেখানে চিকিৎসা যারা দেবেন তারা দেশে ও বিদেশে আরও উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিয়ে আসবেন। তাদের জন্য আমরা সেই ব্যবস্থা রাখব।
প্রশ্ন: সাধারণত সরকারি হাসপাতালগুলোর প্রতি মানুষের একধরনের আস্থাহীনতা রয়েছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ যেকয়টি ইনস্টিটিউট আছে, আমি মনে করি এগুলোতে খুবই উন্নত মানের চিকিৎসা হয়। ভালো চিকিৎসা হয় না, সেটা বলা যাবে না। যদি তাই হয়, তাহলে আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আট থেকে নয় হাজার রোগী প্রতিদিন কেন আসছে? সুতরাং সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা হয় না, কথাটি বললে ভুল হবে।
প্রশ্ন: প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য রোগী চিকিৎসা নিতে অন্য দেশে চলে যান। এটা বন্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায় কি না?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : এটা আইন করে বন্ধ করা যায় না। আমি মনে করি, বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এখন যে পর্যায়ে আছে, সেটা অবশ্যই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়ে কম নয়। কারণ, করোনার সময়ই দেখেন, কেউ কিন্তু চিকিৎসা নিতে যাননি। দেশেই তারা চিকিৎসা নিয়েছেন এবং সুস্থ আছেন। তার মানে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে যে আমরা সব চিকিৎসাই দিতে পারি। কারণ, দেশেই উন্নত বিশ্বের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে এসেও বিভিন্ন দেশের রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে যান।
প্রশ্ন: বিভিন্ন সময় উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির খবর আসে। এসব বিষয়ে আপনার ভূমিকা কী হবে?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : আমি মনে করি, যারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের মূল্যায়নটাও সঠিকভাবে হওয়া উচিত। আমিও যেন সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করি, সেক্ষেত্রে আমাকেও সজাগ থাকতে হবে।
প্রশ্ন: বিএসএমএমইউতে একদিকে করোনা রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ রোগীদেরও চিকিৎসা অব্যাহত আছে। কীভাবে এতকিছু সামলাচ্ছেন?
অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ : আমাদের যে করোনা ইউনিট আছে সেখানে এত রোগী বেড়েছে যে কেবিনগুলোতে কোনো জায়গা নেই। আবার করোনা ছাড়াও অন্য রোগীদের চিকিৎসা চলছে। আমরা আলাদাভাবে দুটোরই ব্যবস্থাপনা করছি।
(অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বিএসএমএমইউ উপাচার্য )