ঢাকা ০২:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালখালীতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ  পোপাদিয়া শাখার শুকনা ইফতার বিতরন Logo বোয়ালখালীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ Logo কক্সবাজারগামী ট্রেনের ধাক্কায় বোয়ালখালীতে একজনের মৃত্যু Logo বোয়ালখালীতে ট্রাক উল্টে চালকের মৃত্যু Logo রাষ্ট্রপতির কাছে বিচার চাইলেন যৌন নিপীড়নের শিকার জবি শিক্ষার্থী মিম Logo নগরের প্রাণকেন্দ্রে নকল ওষুধের ডিপো! Logo ই-পাসপোর্টে আর থাকছে না স্বামী-স্ত্রীর নাম Logo সব জিআই পণ্যের তালিকা করার নির্দেশ হাইকোর্টের Logo এক বছরে ১ লাখ ২০ হাজার মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo চট্টগ্রাম মহানগর কাপ্তাই রাস্তার মাথা কালুরঘাট টোকেন বাণিজ্য চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ
ই-পেপার দেখুন

গ্রাহক সেবায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন বিআরটিএতে

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৯:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১
  • ১১৪৩ বার পঠিত

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সেবা কার্যক্রমে বৈপ্লবিক উন্নয়ন ঘটছে। শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে যানবাহনের ফিটনেস থেকে শুরু করে চালকদের প্রশিক্ষণ এবং লাইসেন্স প্রদানসহ সব ধরনের সেবায় এখন আর হয়রানি নয়, নয় দালালদের দৌরাত্ম্য। আর এই বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের পুরোধা সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মজুমদার গত ২৫ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই গ্রাহক সেবার উন্নয়নে শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ নভেম্বর থেকে অনলাইন অ্যাপয়ন্টমেন্ট নিয়ে রাজধানীর চারটি সার্কেল অফিসে চারটি স্লটে গাড়ির ফিটনেস কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ফলে আগের মতো গ্রাহকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা আর শত শত গাড়ি নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। আজকালের খবরের কাছে এসব পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এখন থেকে গ্রাহকরা অনলাইনে আবেদন করে তাদের সুবিধামতো সময়ে রাজধানীর যে কোনো একটি সার্কেল অফিসে গিয়ে তাদের গাড়ির ফিটনেস করাতে পারছেন। ফলে একটি নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে ভিড় করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। এতে করে দীর্ঘ লাইন আর দালালের দৌরাত্ম্য থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন গ্রাহকরা। ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে ফিটনেসের সময় প্রতিটি স্লটে প্রতিটি গাড়ির ছবি তুলে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যাতে করে কোনো কর্মকর্তা নিয়ম ভঙ্গ করে কাউকে আলাদা করে বিশেষ সুবিধা নিয়ে ফিটনেস করাতে না পারে। পাশাপাশি গ্রাহকরা কোনো অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক ছবি দেখে তদন্ত বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। রাজধানীর প্রতিটি সার্কেল অফিসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা কার্যালয় সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। রাজধানীর চারটি সার্কেল অফিসে প্রতিদিনের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য পরিচালক অপারেশন্স এবং পরিচালক অ্যাডমিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে দেশের ১৮টি ব্যাংকের ৪০০টি শাখায় রাজস্ব জমা নেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে দেরি করে আসা এবং কাজে ফাঁকি দেওয়ার দিন শেষ। এখন থেকে প্রত্যেক স্টাফকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে হাজিরা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
জনবল সংকটের কারণে গ্রাহক সেবা কিছুটা ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বর্তমানে রাজধানীর চারটি সার্কেল অফিসসহ সারা দেশে ৮২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিযুক্ত থাকলেও গ্রাহক সেবা বাড়াতে জনবল সংকট দূর করতে ইতোমধ্যে আমরা আরো ২৩১৫ জনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি। ওই পরিমাণ জনবল পেলে আশা করি সম্পূর্ণরূপে পরিপূর্ণভাবে গ্রাহক সেবা দিতে পারবো।
নূর মোহাম্মদ মজুমদার আরো বলেন, বর্তমানে বিআরটিএ ডিজিটাল কার্যক্রম সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (https://bsp.brta.gov.bd) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অ্যানলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট এবং রাইডশেয়ারিং মোটরযান অ্যানলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের আবেদন ঘরে বসে দাখিল ও ঘরে বসেই সাটিফিকেট প্রিন্ট করতে পারছেন। এ সার্ভিস পোর্টালের মাধ্যমে গ্রাহকরা অনলাইনে হাইসিকিউরিটি স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের আবেদন দাখিল করতে পারছেন। মোবাইল মেসেজের (এসএমএস) মাধ্যমে গ্রাহকরা ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের বায়োমেট্রিক প্রদান ও সাটিফিকেট সংগ্রহের অ্যাপয়ন্টমেন্ট গ্রহণ, মোটরযানের রেট্রো-রেফ্লেক্টিব নম্বরপ্লেট ও আরএফআইডি ট্যাগ প্রস্তুতের স্ট্যাটাস জানতে ও সংযোজনের অ্যাপার্টমেন্ট গ্রহণ করতে পারছেন। এছাড়া স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রিন্টিং স্ট্যাটাসও জানতে পারছেন। গ্রাহকরা বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটে (www.brta.gov.bd) গিয়ে ফি ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে মোটরযানের অগ্রিম আয়কর, ট্যাক্সটোকেন ও ফিটনেস ফি’র পরিমাণ জানতে পারছেন এবং অনলাইনে VISA, MASTER CARD, DBBL, ROCKET, AMERICIAN XPRESS, bkash-এর মাধ্যমে মোটরযানের কর ও ফি প্রদান (ipaybrta.brta.gov.bd) করতে পারছেন। DL Checker Apps ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঠিকতাও জানতে পারছেন। এছাড়া মোটরযানের মালিকরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তাদের মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ফিটনেস ও ট্যাক্সটোকেনের বৈধতার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া এবং ফি’র পরিমাণ জানতে পারছেন। এছাড়া বিআরটিএ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত কল্পে সড়ক নিরাপত্তাকল্পে মোটরযানের ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে গণগতমান বৃদ্ধিত লক্ষ্যে ১৯টি বৃহত্তর জেলা সদরে Motor Driving Testing and Tranining Center(MDTTC)স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় MDTTC স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে দক্ষ ও মানবিক গুণসম্পন্ন গাড়িচালক তৈরির লক্ষ্যে পেশাজীবী গাড়িচালকদের নিয়মিতভাবে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে যথাক্রমে এক লাখ ২ হাজার ১৭৯ ও ৭৪ হাজার ৫২৯ জন পেশাজীবী গাড়িচালককে সড়ক নিরাপত্তা, ট্রাফিক আইন ও সচেতনতামূলক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক স্লোগানসংবলিত স্টিকার, লিফলেট ও প্লাস্টার গাড়িচালক, যাত্রী, পথচারী ও সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিয়মিতভাবে বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক স্লোগানসম্বলিত বিভিন্ন প্রকার লিফলেট যথাক্রমে এক লাখ এক হাজার ৮৪২টি ও আট লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৯টি এবং স্টিকার যথাক্রমে চার লাখ ৬৭ হাজার ৩৫৩টি ও চার ২২ হাজার ৮৯৮টি বিতরণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন লঙ্ঘনের অপরাধে বিআরটিএ কর্তৃক নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে যথাক্রমে ৩৩ হাজার ১১১টি ও ১০ হাজার ৮৫৮টি মামলার মাধ্যমে ছয় কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৩৫ টাকা ও দুই কোটি ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এছাড়া, উক্ত দুই অর্থবছরে যথাক্রমে পাঁচ হাজার ৬৬২ জন ও ১১১ জনকে কারাদণ্ড প্রদান এবং ২০৭টি ও ৭২টি যানবাহনকে ডাম্পিং স্টেশনে প্রেরণ করেছে মোবাইল কোর্ট।
জাতীয় আঞ্চলিক ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণসহ নসিমন, করিমন, ভটভটি ইজিবাইক ইত্যাদি যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির জন্য শ্রেণি ও বয়সভিত্তিক পাঠ্যসূচি প্রস্তুত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে; যা ইতোমধ্যে প্রথম-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। পাশাপাশি প্রতি বছর জেলা সদরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এমনকি বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বক্তব্য-বিজ্ঞপ্তি বহুল প্রচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি, জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল ও সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে মনিটরিং করা হচ্ছে।
মেট্রোপলিটন সড়ক নিরাপত্তা কমিটি, জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি এবং উপজেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি গঠন-পুনর্গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো নিজ নিজ এলাকায় সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে প্রণীত জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল কর্তৃক গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের নিমিত্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিআরটিএ সম্পর্কিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের নিমিত্তে একটি সংঘবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মজুমদার গত ২৫ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। তার জন্ম তারিখ ১ জুলাই ১৯৬৫। ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার উত্তর শালধর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত ছৈয়দের রহমান মজুমদার এবং মাতা জরিফা খাতুন।
নূর মোহাম্মদ মজুমদার চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ১৯৮২ সালে ভর্তি হয়ে হিসাববিজ্ঞানে বিকম (অনার্স) এবং একই বিশ^বিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞানে এমকম পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের ওপর এমবিএ করেন। তিনি ১০ম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার পদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
নুর মোহাম্মদ মজুমদার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রাজশাহী, সাদুল্লাপুর উপজেলা, গাইবান্ধা ও খাগড়াছড়ি জেলায়, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে চট্টগ্রামে, জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার ও আরডিসি ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কুমিল্লায়, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, উপপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে, জেলা প্রশাসক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, যুগ্মসচিব হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ও পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বিআরটিএতে, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। এনএমএস।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালীতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ  পোপাদিয়া শাখার শুকনা ইফতার বিতরন

গ্রাহক সেবায় বৈপ্লবিক উন্নয়ন বিআরটিএতে

আপডেট সময় ০৯:০৩:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ অগাস্ট ২০২১

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সেবা কার্যক্রমে বৈপ্লবিক উন্নয়ন ঘটছে। শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে যানবাহনের ফিটনেস থেকে শুরু করে চালকদের প্রশিক্ষণ এবং লাইসেন্স প্রদানসহ সব ধরনের সেবায় এখন আর হয়রানি নয়, নয় দালালদের দৌরাত্ম্য। আর এই বিশাল উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের পুরোধা সংস্থাটির বর্তমান চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মজুমদার গত ২৫ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকেই গ্রাহক সেবার উন্নয়নে শতভাগ ডিজিটালাইজেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ নভেম্বর থেকে অনলাইন অ্যাপয়ন্টমেন্ট নিয়ে রাজধানীর চারটি সার্কেল অফিসে চারটি স্লটে গাড়ির ফিটনেস কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ফলে আগের মতো গ্রাহকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা আর শত শত গাড়ি নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। আজকালের খবরের কাছে এসব পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, এখন থেকে গ্রাহকরা অনলাইনে আবেদন করে তাদের সুবিধামতো সময়ে রাজধানীর যে কোনো একটি সার্কেল অফিসে গিয়ে তাদের গাড়ির ফিটনেস করাতে পারছেন। ফলে একটি নির্দিষ্ট সার্কেল অফিসে ভিড় করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। এতে করে দীর্ঘ লাইন আর দালালের দৌরাত্ম্য থেকে পরিত্রাণ পেয়েছেন গ্রাহকরা। ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে ফিটনেসের সময় প্রতিটি স্লটে প্রতিটি গাড়ির ছবি তুলে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যাতে করে কোনো কর্মকর্তা নিয়ম ভঙ্গ করে কাউকে আলাদা করে বিশেষ সুবিধা নিয়ে ফিটনেস করাতে না পারে। পাশাপাশি গ্রাহকরা কোনো অভিযোগ দিলে তাৎক্ষণিক ছবি দেখে তদন্ত বা ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়। রাজধানীর প্রতিটি সার্কেল অফিসকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা কার্যালয় সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। রাজধানীর চারটি সার্কেল অফিসে প্রতিদিনের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য পরিচালক অপারেশন্স এবং পরিচালক অ্যাডমিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রাহকের ভোগান্তি কমাতে দেশের ১৮টি ব্যাংকের ৪০০টি শাখায় রাজস্ব জমা নেওয়া হচ্ছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে দেরি করে আসা এবং কাজে ফাঁকি দেওয়ার দিন শেষ। এখন থেকে প্রত্যেক স্টাফকে ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে হাজিরা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
জনবল সংকটের কারণে গ্রাহক সেবা কিছুটা ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, বর্তমানে রাজধানীর চারটি সার্কেল অফিসসহ সারা দেশে ৮২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিযুক্ত থাকলেও গ্রাহক সেবা বাড়াতে জনবল সংকট দূর করতে ইতোমধ্যে আমরা আরো ২৩১৫ জনের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে জানিয়েছি। ওই পরিমাণ জনবল পেলে আশা করি সম্পূর্ণরূপে পরিপূর্ণভাবে গ্রাহক সেবা দিতে পারবো।
নূর মোহাম্মদ মজুমদার আরো বলেন, বর্তমানে বিআরটিএ ডিজিটাল কার্যক্রম সেবা প্রদানের লক্ষ্যে বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টাল (https://bsp.brta.gov.bd) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স, রাইডশেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অ্যানলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট এবং রাইডশেয়ারিং মোটরযান অ্যানলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটের আবেদন ঘরে বসে দাখিল ও ঘরে বসেই সাটিফিকেট প্রিন্ট করতে পারছেন। এ সার্ভিস পোর্টালের মাধ্যমে গ্রাহকরা অনলাইনে হাইসিকিউরিটি স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্স ও মোটরযান রেজিস্ট্রেশনের আবেদন দাখিল করতে পারছেন। মোবাইল মেসেজের (এসএমএস) মাধ্যমে গ্রাহকরা ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের বায়োমেট্রিক প্রদান ও সাটিফিকেট সংগ্রহের অ্যাপয়ন্টমেন্ট গ্রহণ, মোটরযানের রেট্রো-রেফ্লেক্টিব নম্বরপ্লেট ও আরএফআইডি ট্যাগ প্রস্তুতের স্ট্যাটাস জানতে ও সংযোজনের অ্যাপার্টমেন্ট গ্রহণ করতে পারছেন। এছাড়া স্মার্টকার্ড ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রিন্টিং স্ট্যাটাসও জানতে পারছেন। গ্রাহকরা বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটে (www.brta.gov.bd) গিয়ে ফি ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে মোটরযানের অগ্রিম আয়কর, ট্যাক্সটোকেন ও ফিটনেস ফি’র পরিমাণ জানতে পারছেন এবং অনলাইনে VISA, MASTER CARD, DBBL, ROCKET, AMERICIAN XPRESS, bkash-এর মাধ্যমে মোটরযানের কর ও ফি প্রদান (ipaybrta.brta.gov.bd) করতে পারছেন। DL Checker Apps ব্যবহার করে ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঠিকতাও জানতে পারছেন। এছাড়া মোটরযানের মালিকরা স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তাদের মোবাইলে মেসেজের মাধ্যমে ফিটনেস ও ট্যাক্সটোকেনের বৈধতার মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া এবং ফি’র পরিমাণ জানতে পারছেন। এছাড়া বিআরটিএ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত কল্পে সড়ক নিরাপত্তাকল্পে মোটরযানের ফিটনেস ও ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে গণগতমান বৃদ্ধিত লক্ষ্যে ১৯টি বৃহত্তর জেলা সদরে Motor Driving Testing and Tranining Center(MDTTC)স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে ৬৪টি জেলায় MDTTC স্থাপনের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে দক্ষ ও মানবিক গুণসম্পন্ন গাড়িচালক তৈরির লক্ষ্যে পেশাজীবী গাড়িচালকদের নিয়মিতভাবে স্বল্পমেয়াদি প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে যথাক্রমে এক লাখ ২ হাজার ১৭৯ ও ৭৪ হাজার ৫২৯ জন পেশাজীবী গাড়িচালককে সড়ক নিরাপত্তা, ট্রাফিক আইন ও সচেতনতামূলক বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এছাড়া তিনি বলেন, রাজধানীসহ সারা দেশ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক স্লোগানসংবলিত স্টিকার, লিফলেট ও প্লাস্টার গাড়িচালক, যাত্রী, পথচারী ও সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে নিয়মিতভাবে বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক স্লোগানসম্বলিত বিভিন্ন প্রকার লিফলেট যথাক্রমে এক লাখ এক হাজার ৮৪২টি ও আট লাখ ৫৭ হাজার ৫৪৯টি এবং স্টিকার যথাক্রমে চার লাখ ৬৭ হাজার ৩৫৩টি ও চার ২২ হাজার ৮৯৮টি বিতরণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, সড়ক পরিবহন খাতে শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আইন লঙ্ঘনের অপরাধে বিআরটিএ কর্তৃক নিয়মিতভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। বিআরটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২০১৮-১৯ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে যথাক্রমে ৩৩ হাজার ১১১টি ও ১০ হাজার ৮৫৮টি মামলার মাধ্যমে ছয় কোটি ১৮ লাখ ২৪ হাজার ৬৩৫ টাকা ও দুই কোটি ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৭৬০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এছাড়া, উক্ত দুই অর্থবছরে যথাক্রমে পাঁচ হাজার ৬৬২ জন ও ১১১ জনকে কারাদণ্ড প্রদান এবং ২০৭টি ও ৭২টি যানবাহনকে ডাম্পিং স্টেশনে প্রেরণ করেছে মোবাইল কোর্ট।
জাতীয় আঞ্চলিক ২২টি মহাসড়কে থ্রি-হুইলার নিয়ন্ত্রণসহ নসিমন, করিমন, ভটভটি ইজিবাইক ইত্যাদি যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সড়ক নিরাপত্তার বিষয়টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তির জন্য শ্রেণি ও বয়সভিত্তিক পাঠ্যসূচি প্রস্তুত করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে; যা ইতোমধ্যে প্রথম-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বাকি কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন আছে। পাশাপাশি প্রতি বছর জেলা সদরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে সমাবেশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এমনকি বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় নিয়মিতভাবে সড়ক নিরাপত্তা ও গণসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক বক্তব্য-বিজ্ঞপ্তি বহুল প্রচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি, জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল ও সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নে মনিটরিং করা হচ্ছে।
মেট্রোপলিটন সড়ক নিরাপত্তা কমিটি, জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি এবং উপজেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটি গঠন-পুনর্গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো নিজ নিজ এলাকায় সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাসকল্পে প্রণীত জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিল কর্তৃক গঠিত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নের নিমিত্তে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিআরটিএ সম্পর্কিত সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের নিমিত্তে একটি সংঘবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলেও জানান চেয়ারম্যান।
অতিরিক্ত সচিব নূর মোহাম্মদ মজুমদার গত ২৫ জুন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান। তিনি বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১০ম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। তার জন্ম তারিখ ১ জুলাই ১৯৬৫। ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলার উত্তর শালধর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত ছৈয়দের রহমান মজুমদার এবং মাতা জরিফা খাতুন।
নূর মোহাম্মদ মজুমদার চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ১৯৮২ সালে ভর্তি হয়ে হিসাববিজ্ঞানে বিকম (অনার্স) এবং একই বিশ^বিদ্যালয় হতে হিসাববিজ্ঞানে এমকম পাস করেন। পরবর্তীতে তিনি হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্টের ওপর এমবিএ করেন। তিনি ১০ম বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৯১ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে সহকারী কমিশনার পদে সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করেন।
নুর মোহাম্মদ মজুমদার প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি সহকারী কমিশনার হিসেবে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, রাজশাহী, সাদুল্লাপুর উপজেলা, গাইবান্ধা ও খাগড়াছড়ি জেলায়, উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে চট্টগ্রামে, জেনারেল সার্টিফিকেট অফিসার ও আরডিসি ও প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কুমিল্লায়, সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, উপপরিচালক ও পরিচালক হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশনে, জেলা প্রশাসক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, যুগ্মসচিব হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ও পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) বিআরটিএতে, অতিরিক্ত সচিব হিসেবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন। এনএমএস।