ঢাকা ১১:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ই-পেপার দেখুন

এক বছরে ১ লাখ ২০ হাজার মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৮:২৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • ৬৫০ বার পঠিত

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গত বছর সারাদেশে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে এক লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে ।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ, এম, বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদক নির্মূলে সারাদেশে অভিযান পরিচালনাসহ চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদেরকে চিকিৎসা দানসহ বহুবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

দেশে বর্তমান সময়ের আলোচিত মাদকদ্রব্য ইয়াবার অনুপ্রবেশ ঘটে মায়ানমার থেকে এবং ভারত থেকে গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ অনুপ্রবেশ করে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সারাদেশে ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। মাদক নির্মূলে সারাদেশে সকল আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স ২০২৩ সালে ১৯ হাজার ১৭০টি অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া আট হাজার ৫৬৭টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ওই মামলাগুলোতে আট হাজার ৬০৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, ডিজিএফআই ও এনএসআই এর সমন্বয়ে কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবা পাচার বিরোধী টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয়েছে। টাস্কফোর্স কর্তৃক ২০২৩ সালে ২৮০টি অভিযান পরিচালনা করে ৯৫ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারির বিরুদ্ধে ৮৪ মামলা দায়ের করা হয় এবং এক লাখ নয় হাজার ৭০৮ পিস ইয়াবা, ৪ কেজি হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এ ইয়াবা (এ্যামফিটামিন) ‘ক’ শ্রেণির মাদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এ মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের যথাযথ শাস্তি বিধান কল্পে এ আইনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচনা দানকারী এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

পটিয়ায় ২০০ বছরের পুরনো মসজিদ সংরক্ষণে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

এক বছরে ১ লাখ ২০ হাজার মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৮:২৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, গত বছর সারাদেশে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে এক লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে ।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এইচ, এম, বদিউজ্জামানের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। মাদক নির্মূলে সারাদেশে অভিযান পরিচালনাসহ চাহিদা হ্রাস, সরবরাহ হ্রাস ও মাদকাসক্ত ব্যক্তিদেরকে চিকিৎসা দানসহ বহুবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

দেশে বর্তমান সময়ের আলোচিত মাদকদ্রব্য ইয়াবার অনুপ্রবেশ ঘটে মায়ানমার থেকে এবং ভারত থেকে গাঁজা, ফেন্সিডিল, হেরোইন ও ইনজেক্টিং ড্রাগ অনুপ্রবেশ করে বলেও জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সারাদেশে ২০২৩ সালে ৯৭ হাজার ২৪১টি মামলা দায়ের করে ১ লাখ ২০ হাজার ২৮৭ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য। মাদক নির্মূলে সারাদেশে সকল আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত টাস্কফোর্স ২০২৩ সালে ১৯ হাজার ১৭০টি অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়া আট হাজার ৫৬৭টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ওই মামলাগুলোতে আট হাজার ৬০৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, ডিজিএফআই ও এনএসআই এর সমন্বয়ে কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবা পাচার বিরোধী টাস্কফোর্স কমিটি গঠিত হয়েছে। টাস্কফোর্স কর্তৃক ২০২৩ সালে ২৮০টি অভিযান পরিচালনা করে ৯৫ জন অবৈধ মাদক চোরাকারবারির বিরুদ্ধে ৮৪ মামলা দায়ের করা হয় এবং এক লাখ নয় হাজার ৭০৮ পিস ইয়াবা, ৪ কেজি হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়।

এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) এ ইয়াবা (এ্যামফিটামিন) ‘ক’ শ্রেণির মাদকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং এ মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। মাদক ব্যবসার মূল হোতাদের যথাযথ শাস্তি বিধান কল্পে এ আইনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণেরও বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ আইনে মাদক অপরাধের পৃষ্ঠপোষক, প্ররোচনা দানকারী এবং সহযোগীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।