ঢাকা ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের ২য় ‘ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয় Logo বোয়ালখালীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন Logo সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের দুই মাসের জন্য নির্বাহী Logo সাবেক এমপি মইন উদ্দীন খান বাদলের কবরে হামলা, ভাংচুর Logo আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন ড. ইউনূস Logo চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। Logo ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের সবাইকে কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ Logo অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়: সেনাপ্রধান Logo বোয়ালখালীতে স্কাউটস সদস্যদের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান Logo আনন্দ মিছিল শেষে ফেরার পথে পুলিশের গুলিতে নিহত ওমর
ই-পেপার দেখুন

হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৩০৪ জনের পাণহানি

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৮৫৭ বার পঠিত

কালেরপত্র ডেস্ক :

ক্যারিবীয় রাষ্ট্র হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি।

আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শনিবার সকালে হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্জজুড়ে ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভবন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ভূমিকম্পের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, হাইতির পেটিট ট্রুও ডি নিপ্পেস থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স থেকে শহরটি দেড়শো কিলোমিটার দূরে।

এটি ১১ বছর আগে হাইতিতে আঘাত হানা ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে শক্তিশালী ও অগভীর। ২০১১ সালের ওই ভূমিকম্পে অঞ্চলটিতে লাখ লাখ না হলেও হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। ভেঙ্গে পড়েছিল অসংখ্য বাড়িঘর-ভবন। বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছিল।

এদিকে ভূমিকম্পের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ছবিতে পাশের শহর জেরেমিতে ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি ও একটি চার্চের ধ্বংসস্তুপের চিত্র দেখা যাচ্ছে। ছোটাছুটি করছেন আতঙ্কিত মানুষজন।

ভূকম্পন অনুভূত হওয়া হাইতির প্রতিবেশী দেশ কিউবার উত্তরে অবস্থিত গুয়ানতানামো শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘সকলে ভীষণ ভীত-সন্ত্রস্ত। দীর্ঘদিন এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।’ তার বাড়ি ভেঙে না পড়লেও আসবাবপত্র নড়েচড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে হাইতির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ‘বিশাল ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এছাড়া হাইতি এখনও ২০১০ সালের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

বার্তাসংস্থা এএফপি’কে ক্রিস্টেলা সেইন্ট হিলাইরি নামে হাইতির এক বাসিন্দা জানান, বহু ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের ২য় ‘ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়

হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৩০৪ জনের পাণহানি

আপডেট সময় ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

কালেরপত্র ডেস্ক :

ক্যারিবীয় রাষ্ট্র হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি।

আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শনিবার সকালে হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্জজুড়ে ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভবন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ভূমিকম্পের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, হাইতির পেটিট ট্রুও ডি নিপ্পেস থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স থেকে শহরটি দেড়শো কিলোমিটার দূরে।

এটি ১১ বছর আগে হাইতিতে আঘাত হানা ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে শক্তিশালী ও অগভীর। ২০১১ সালের ওই ভূমিকম্পে অঞ্চলটিতে লাখ লাখ না হলেও হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। ভেঙ্গে পড়েছিল অসংখ্য বাড়িঘর-ভবন। বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছিল।

এদিকে ভূমিকম্পের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ছবিতে পাশের শহর জেরেমিতে ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি ও একটি চার্চের ধ্বংসস্তুপের চিত্র দেখা যাচ্ছে। ছোটাছুটি করছেন আতঙ্কিত মানুষজন।

ভূকম্পন অনুভূত হওয়া হাইতির প্রতিবেশী দেশ কিউবার উত্তরে অবস্থিত গুয়ানতানামো শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘সকলে ভীষণ ভীত-সন্ত্রস্ত। দীর্ঘদিন এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।’ তার বাড়ি ভেঙে না পড়লেও আসবাবপত্র নড়েচড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে হাইতির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ‘বিশাল ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এছাড়া হাইতি এখনও ২০১০ সালের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

বার্তাসংস্থা এএফপি’কে ক্রিস্টেলা সেইন্ট হিলাইরি নামে হাইতির এক বাসিন্দা জানান, বহু ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে।