ঢাকা ০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাংবাদিক পরিচয়ে আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো সেই হান্নান আটক Logo পটিয়ায় ২০০ বছরের পুরনো মসজিদ সংরক্ষণে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি Logo “বোয়ালখালীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে যুবক, খোয়া গেল অটোরিকশা-মোবাইল-নগদ টাকা” Logo রাউজানে বিদেশি পিস্তলসহ দুইজন গ্রেফতার Logo বোয়ালখালীতে মূফতি  আবদুর রহীম আলকাদেরীর বার্ষিক ওরশ আজ Logo দেশবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত বিএনপি : এরশাদ উল্লাহ Logo তামাকুমন্ডি লেইনে দোকানে আগুন Logo আকুবদন্ডী ওয়ারেছ মোহছেনা উচ্চ বিদ্যালয়ে এডহক কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত Logo বোয়ালখালীতে র‍্যাংগস ইলেকট্রনিকসের শো-রুমের শুভ উদ্বোধন Logo বোয়ালখালীতে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন
ই-পেপার দেখুন

কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভুল রিপোর্ট, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৪:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • ৬৮৭ বার পঠিত

নীলফামারীর ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৩ বছরের এক কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভুল রিপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় ওই ক্লিনিকটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান মালিকে কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা মাঠ সংলগ্ন ডিবি রোডে ওই ক্লিনিকটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রায় দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি।

এর আগে ১২ জুন ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের এক কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভুল প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ক্লিনিকটি অবরোধ করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বজন ও স্থানীয়রা। একই সঙ্গে ওই ক্লিনিক বন্ধের দাবি জানান তারা। এছাড়া এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি বলেন, অভিযোগ ও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অংশ হিসেবে ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ ও ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। সেই শর্তগুলো পূরণের পর অনুমতি সাপেক্ষে পুনরায় তারা ক্লিনিকটি চালু করতে পারবে।

এদিকে এ ঘটনায় একটি তদন্তে কমিটি গঠন করেছেন ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নাহিদা তাসনিম হিমিকে। অন্য সদস্যরা হলেন, মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. কামরুল ইসলাম, স্যানিটারি পরিদর্শক আলামিন রহমান ও নার্সিং ইনচার্জ আকলিমা আক্তার। দায়িত্ব পেয়ে বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত দল।

এ বিষয়ে ডা. নাহিদা তাসনিম হিমি বলেন, আমরা তদন্ত করেছি। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রায়হান বারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন বিকেলে পেটে ব্যথা নিয়ে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায় ১৩ বছরের ওই কিশোরী। পেট ব্যথার ফলে ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা দেখানো হয়। তবে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা আরও দুটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন। সেখানে রিপোর্ট স্বাভাবিক আসে। এতে ক্ষোভে সোমবার ওই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবরোধ করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবি জানান স্বজন ও স্থানীয়রা।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

সাংবাদিক পরিচয়ে আবাসিক হোটেলে অভিযান চালানো সেই হান্নান আটক

কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভুল রিপোর্ট, ক্লিনিক বন্ধের নির্দেশ

আপডেট সময় ০৪:৩১:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

নীলফামারীর ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ১৩ বছরের এক কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভুল রিপোর্ট দেওয়ার ঘটনায় ওই ক্লিনিকটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠান মালিকে কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা মাঠ সংলগ্ন ডিবি রোডে ওই ক্লিনিকটিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রায় দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি।

এর আগে ১২ জুন ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের এক কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভুল প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ক্লিনিকটি অবরোধ করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বজন ও স্থানীয়রা। একই সঙ্গে ওই ক্লিনিক বন্ধের দাবি জানান তারা। এছাড়া এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি বলেন, অভিযোগ ও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অংশ হিসেবে ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ ও ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। সেই শর্তগুলো পূরণের পর অনুমতি সাপেক্ষে পুনরায় তারা ক্লিনিকটি চালু করতে পারবে।

এদিকে এ ঘটনায় একটি তদন্তে কমিটি গঠন করেছেন ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নাহিদা তাসনিম হিমিকে। অন্য সদস্যরা হলেন, মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. কামরুল ইসলাম, স্যানিটারি পরিদর্শক আলামিন রহমান ও নার্সিং ইনচার্জ আকলিমা আক্তার। দায়িত্ব পেয়ে বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত দল।

এ বিষয়ে ডা. নাহিদা তাসনিম হিমি বলেন, আমরা তদন্ত করেছি। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রায়হান বারী ঢাকা পোস্টকে বলেন, কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন বিকেলে পেটে ব্যথা নিয়ে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায় ১৩ বছরের ওই কিশোরী। পেট ব্যথার ফলে ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে কিশোরীকে অন্তঃসত্ত্বা দেখানো হয়। তবে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা আরও দুটি ক্লিনিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন। সেখানে রিপোর্ট স্বাভাবিক আসে। এতে ক্ষোভে সোমবার ওই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবরোধ করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবি জানান স্বজন ও স্থানীয়রা।