ঢাকা ০১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ই-পেপার দেখুন

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন

  • ডেক্স রির্পোট
  • আপডেট সময় ০৮:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ৬৫২ বার পঠিত

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

রাষ্ট্রপতি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মনোনয়ন পরীক্ষা শেষে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ইসি প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৭ নম্বর আইন)- এর ধারা ৭ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৯১ এর বিধি ১২ এর উপ-বিধি (৬) অনুসারে নির্বাচন কর্তা ও নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা মোতাবেক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি পদে একমাত্র প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাকে এই পদে মনোনয়ন দেয়।

নতুন রাষ্ট্রপতির পরিচয়

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সেই রাজনীতির সঙ্গে জাড়ানো মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছাত্ররাজনীতির ক্যারিয়ার ছিল বর্ণাঢ্য। ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা পাবনার বাসিন্দা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। সত্তরের দশকে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রনেতা হিসেবে উত্তরাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এ সময় তিনি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নবগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ভারতে যান সেখানে অবস্থান করা তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা পাবনার বাসিন্দা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। সত্তরের দশকে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রনেতা হিসেবে উত্তরাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এ সময় তিনি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নবগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ভারতে যান সেখানে অবস্থান করা তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে।

আপনার মতামত লিখুন

স্মার্ট পৌরসভা গড়তে সকলের সহযোগিতা চায়লেন পৌরমেয়র জহুর 

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন

আপডেট সময় ০৮:২৩:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

রাষ্ট্রপতি পদে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় মনোনয়ন পরীক্ষা শেষে মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্বাচনী কর্মকর্তা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

ইসি প্রকাশিত গেজেটে বলা হয়েছে- রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন ১৯৯১ (১৯৯১ সনের ২৭ নম্বর আইন)- এর ধারা ৭ এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধিমালা, ১৯৯১ এর বিধি ১২ এর উপ-বিধি (৬) অনুসারে নির্বাচন কর্তা ও নির্বাচন কমিশনারের ঘোষণা মোতাবেক মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি পদে একমাত্র প্রার্থী ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাকে এই পদে মনোনয়ন দেয়।

নতুন রাষ্ট্রপতির পরিচয়

মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। অল্প বয়সেই রাজনীতির সঙ্গে জাড়ানো মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছাত্ররাজনীতির ক্যারিয়ার ছিল বর্ণাঢ্য। ১৯৭৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা পাবনার বাসিন্দা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। সত্তরের দশকে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রনেতা হিসেবে উত্তরাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এ সময় তিনি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নবগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ভারতে যান সেখানে অবস্থান করা তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলা পাবনার বাসিন্দা মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। সত্তরের দশকে পাবনা জেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রনেতা হিসেবে উত্তরাঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন। এ সময় তিনি স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর নবগঠিত সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় গ্রেপ্তার হয়ে তিন বছর কারাগারে ছিলেন তিনি। কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ভারতে যান সেখানে অবস্থান করা তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে।