ঢাকা ০৮:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ই-পেপার দেখুন

চকরিয়া উপজেলার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে জমি দখলের চেষ্টা, এমপির হস্তক্ষেপে দখল বন্ধ

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ১০:১৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
  • ৭৯৮ বার পঠিত

চকরিয়া উপজেলার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে শোক দিবস ১৫ আগস্ট শনিবার সকালে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে জমি দখলের প্রচেষ্টা চালিয়েছে আব্দুলাহ এবং তার সাথে যাওয়া সন্ত্রাসীরা। মজিদিয়া মাদ্রাসা পাড়ায় অবস্থিত মৃত মোহাম্মদ বদরুদ্দোজার জায়গা দখলের প্রচেষ্টা চালালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।জানা যায়, ১৫ আগস্ট শোক দিবসের অনুষ্ঠানের কারণে সবাই ব্যস্ত থাকার সুযোগে লামার চিরিংগার আব্দুল্লাহ এবং ২০/২২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মৃত বদরুদ্দোজার জায়গা দখলের চেষ্টা চালায়। মৃত বদরুদ্দোজার মেজো ছেলে মোরশেদ কামাল এবং তার পরিবার বাধা দিলেও আব্দুল্লাহ জানায় চকরিয়ার এমপি জাফর আলমের নির্দেশেই তারা এখানে এসেছে। উনি না বললে তারা যাবে না।

মোরশেদ কামাল জানান ‘আমার ভাই ঢাকা থেকে এমপি জাফর আলমকে ফোন দিলে উনি জমি দখলের চেষ্টাকারীদের উপর রেগে গিয়ে বলেন ‘এরা শোক দিবসকে বাদ দিলো না’। পরে উনি ফোন দিয়ে কাজ বন্ধ করতে বললে তারা চলে যান। তারা এইসময় সবাইকে হুমকি ধমকি দিয়ে যান।

ভুক্তভোগী মোরশেদ কামাল জানায়, ‘১৯৯৭ সালে আব্দুল্লাহ’র ভাই এর স্ত্রী মোরছেনা খানমের কাছ থেকে আমার বাবা মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন। সেই মোতাবেক জমি বুঝে নেন এবং সেখানে ২৩ বছর যাবত আমরা চাষাবাদ করছি। ২ বছর আগে আব্দুল্লাহ দাবি করেন আমাদের জায়গার পাশে থাকা কবরস্থানে তার ৫ শতক জায়গা আছে এবং তার জন্য মসজিদ কমিটির কাছে টাকা দাবি করেন। কিন্তু মুসল্লিরা বলেন শতবছর ধরে এই কবরস্থান আছে। এর কোন মূল্য দিতে পারবে না। এর কিছুদিন পরেই আব্দুল্লাহ আবার দাবি করে বসেন তার জায়গা কবরস্থানে নয়, আমাদের জায়গার মধ্যেই আছে। আব্দুল্লাহ পুলিশের কাছে বিচার দিলে পুলিশ স্থানীয় সালিসকারদের নিয়ে একজন দক্ষ আইনজীবীর সাহায্য নিতে বলেন। এই ব্যাপারে চকরিয়ার এমপি’কে জানানো হয়। তিনিও বিষয়টি অবগত আছেন। পরে কয়েকদফায় আইনজীবীদের সাথে কথা বলেও তারা বিচারে আসেন নি। তাদেরকে আইনজীবী ঠিক করতে বলা হলেও তাদের আইনজীবী দুই পক্ষের মতামত এবং জমির দলিলপত্র নিয়ে একটি মতামত প্রদান করেন। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে উচ্চ আদালতে বিভিন্ন রায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং দৌহদ্দি অনুসারে মোহাম্মদ বদরুদ্দোজার জায়গা শুরু হবে কবরস্থানের শেষ থেকে। এই কপি নিয়ে বিচার কার্যক্রমে গেলে তারা আর আসে নি। দুইবছর পর হঠাৎ আবার গত ১৫ আগস্ট জমি দখল করতে আসে। আইনীভাবে না পেরে গায়ের জোরে এবং রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে জমি দখলের প্রচেষ্টা চালায়। এমনকি সবাইকে বলে বেড়িয়েছে এমপি জাফর আলম তার সাথে আছে। অথচ তিনি নিজেই ১৫ আগস্ট তাদেরকে জমি দখল না করতে বলেছেন। আমাদের ৫ ভাইয়ের একজনও বাড়িতে থাকি না। আমি চাকরির কারণে উখিয়া থাকলেও বাকী চার ভাইয়ের তিনজন ঢাকায় থাকে চাকরি এবং পড়ালেখার সুবাধে। বাকী একজন দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষারত। এই সুযোগে আব্দুল্লাহ এবং তার ভাড়াটিয়া বাহিনী জমি দখলের পায়তারা করছে। আমি এমপি মহোদয়ের কাছে বিচার চাই। দেশে আইন থাকতে কেন বেআইনীভাবে তারা আমাদের জমি দখল করতে আসবে? আমরা এর বিচার চাই’।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

স্মার্ট পৌরসভা গড়তে সকলের সহযোগিতা চায়লেন পৌরমেয়র জহুর 

চকরিয়া উপজেলার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে জমি দখলের চেষ্টা, এমপির হস্তক্ষেপে দখল বন্ধ

আপডেট সময় ১০:১৭:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২১

চকরিয়া উপজেলার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে শোক দিবস ১৫ আগস্ট শনিবার সকালে একদল সন্ত্রাসী নিয়ে জমি দখলের প্রচেষ্টা চালিয়েছে আব্দুলাহ এবং তার সাথে যাওয়া সন্ত্রাসীরা। মজিদিয়া মাদ্রাসা পাড়ায় অবস্থিত মৃত মোহাম্মদ বদরুদ্দোজার জায়গা দখলের প্রচেষ্টা চালালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।জানা যায়, ১৫ আগস্ট শোক দিবসের অনুষ্ঠানের কারণে সবাই ব্যস্ত থাকার সুযোগে লামার চিরিংগার আব্দুল্লাহ এবং ২০/২২ জন সন্ত্রাসী নিয়ে মৃত বদরুদ্দোজার জায়গা দখলের চেষ্টা চালায়। মৃত বদরুদ্দোজার মেজো ছেলে মোরশেদ কামাল এবং তার পরিবার বাধা দিলেও আব্দুল্লাহ জানায় চকরিয়ার এমপি জাফর আলমের নির্দেশেই তারা এখানে এসেছে। উনি না বললে তারা যাবে না।

মোরশেদ কামাল জানান ‘আমার ভাই ঢাকা থেকে এমপি জাফর আলমকে ফোন দিলে উনি জমি দখলের চেষ্টাকারীদের উপর রেগে গিয়ে বলেন ‘এরা শোক দিবসকে বাদ দিলো না’। পরে উনি ফোন দিয়ে কাজ বন্ধ করতে বললে তারা চলে যান। তারা এইসময় সবাইকে হুমকি ধমকি দিয়ে যান।

ভুক্তভোগী মোরশেদ কামাল জানায়, ‘১৯৯৭ সালে আব্দুল্লাহ’র ভাই এর স্ত্রী মোরছেনা খানমের কাছ থেকে আমার বাবা মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা ৪০ শতক জমি ক্রয় করেন। সেই মোতাবেক জমি বুঝে নেন এবং সেখানে ২৩ বছর যাবত আমরা চাষাবাদ করছি। ২ বছর আগে আব্দুল্লাহ দাবি করেন আমাদের জায়গার পাশে থাকা কবরস্থানে তার ৫ শতক জায়গা আছে এবং তার জন্য মসজিদ কমিটির কাছে টাকা দাবি করেন। কিন্তু মুসল্লিরা বলেন শতবছর ধরে এই কবরস্থান আছে। এর কোন মূল্য দিতে পারবে না। এর কিছুদিন পরেই আব্দুল্লাহ আবার দাবি করে বসেন তার জায়গা কবরস্থানে নয়, আমাদের জায়গার মধ্যেই আছে। আব্দুল্লাহ পুলিশের কাছে বিচার দিলে পুলিশ স্থানীয় সালিসকারদের নিয়ে একজন দক্ষ আইনজীবীর সাহায্য নিতে বলেন। এই ব্যাপারে চকরিয়ার এমপি’কে জানানো হয়। তিনিও বিষয়টি অবগত আছেন। পরে কয়েকদফায় আইনজীবীদের সাথে কথা বলেও তারা বিচারে আসেন নি। তাদেরকে আইনজীবী ঠিক করতে বলা হলেও তাদের আইনজীবী দুই পক্ষের মতামত এবং জমির দলিলপত্র নিয়ে একটি মতামত প্রদান করেন। সেখানে স্পষ্ট উল্লেখ আছে উচ্চ আদালতে বিভিন্ন রায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবং দৌহদ্দি অনুসারে মোহাম্মদ বদরুদ্দোজার জায়গা শুরু হবে কবরস্থানের শেষ থেকে। এই কপি নিয়ে বিচার কার্যক্রমে গেলে তারা আর আসে নি। দুইবছর পর হঠাৎ আবার গত ১৫ আগস্ট জমি দখল করতে আসে। আইনীভাবে না পেরে গায়ের জোরে এবং রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে জমি দখলের প্রচেষ্টা চালায়। এমনকি সবাইকে বলে বেড়িয়েছে এমপি জাফর আলম তার সাথে আছে। অথচ তিনি নিজেই ১৫ আগস্ট তাদেরকে জমি দখল না করতে বলেছেন। আমাদের ৫ ভাইয়ের একজনও বাড়িতে থাকি না। আমি চাকরির কারণে উখিয়া থাকলেও বাকী চার ভাইয়ের তিনজন ঢাকায় থাকে চাকরি এবং পড়ালেখার সুবাধে। বাকী একজন দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষারত। এই সুযোগে আব্দুল্লাহ এবং তার ভাড়াটিয়া বাহিনী জমি দখলের পায়তারা করছে। আমি এমপি মহোদয়ের কাছে বিচার চাই। দেশে আইন থাকতে কেন বেআইনীভাবে তারা আমাদের জমি দখল করতে আসবে? আমরা এর বিচার চাই’।