ঢাকা ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালখালীতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ  পোপাদিয়া শাখার শুকনা ইফতার বিতরন Logo বোয়ালখালীতে গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ Logo কক্সবাজারগামী ট্রেনের ধাক্কায় বোয়ালখালীতে একজনের মৃত্যু Logo বোয়ালখালীতে ট্রাক উল্টে চালকের মৃত্যু Logo রাষ্ট্রপতির কাছে বিচার চাইলেন যৌন নিপীড়নের শিকার জবি শিক্ষার্থী মিম Logo নগরের প্রাণকেন্দ্রে নকল ওষুধের ডিপো! Logo ই-পাসপোর্টে আর থাকছে না স্বামী-স্ত্রীর নাম Logo সব জিআই পণ্যের তালিকা করার নির্দেশ হাইকোর্টের Logo এক বছরে ১ লাখ ২০ হাজার মাদক কারবারি গ্রেপ্তার Logo চট্টগ্রাম মহানগর কাপ্তাই রাস্তার মাথা কালুরঘাট টোকেন বাণিজ্য চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ
ই-পেপার দেখুন

হাশরের ময়দানে মানুষের হিসাবের ধরণ

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ১১:০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৭৭০ বার পঠিত

কালেরপত্র ডেষ্ক :

জরত আবু বারযা আসলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দার দুটি পা ততক্ষণ পর্যন্ত নড়াতে পারবে না; যতক্ষণ না তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে, তোমার জিন্দিগি কোথায় ব্যয় করেছ? জ্ঞানানুসারে কি আমল করেছ? সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছ আর কিসে খরচ করেছ এবং তোমার শরীরকে কী কাজে নিঃশেষ করেছ?’ (তিরমিজি, দারেমি) হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, হাশরের ময়দানে প্রত্যেক বনি আদমকেই আল্লাহ তাআলার দরবারে তার কর্মের হিসাব দিতে হবে। হাশরের ময়দানে হিসাব-নিকাশ হবে দু ধরনের।

প্রথমত : যাদের হিসাব সহজ হবে, তাদের হিসাব-নিকাশ পেশ করা হবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কিয়ামতের দিন যে কারো হিসাব নেয়া হবে; সে ধ্বংস হবে।’ আমি (আয়েশা) বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহা! আল্লাহ তাআলা কি এরশাদ করেন নাই, ‘আর যার ডান হাতে আমলনামা দেয়া হবে তার হিসাব-নিকাশ সহজ হবে।’ (সুরা ইনশিকাক : আয়াত ৭-৮)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘এতো শুধু (আমলনামা) পেশ মাত্র; কারণ কিয়ামতের দিন যে কারো হিসাব পর্যবেক্ষণ করা হবে সে নির্ঘাত আজাবে নিপতিত হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

দ্বিতীয়ত : যাদের হিসাব-নিকাশ শক্তভাবে নেয়া হবে
ছোট-বড় সব ব্যাপারেই প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে যদি সত্য বলে তাহলে ভালই। আর যদি মিথ্যা বলার বা গোপন করার চেষ্টা করে, তবে হিসাব-নিকাশের দিন তার মুখে মোহর মেরে দেয়া হবে এবং তার অঙ্গ-প্রতঙ্গকে কথা বলার জন্য বলা হবে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর মেরে দেব; তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ৬৫)

কিয়ামতের দিনে সব মানুষের হিসাব হবে। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাদেরকে এর আওতামুক্ত রেখেছেন; তারা ব্যতীত। যেমন-

এ উম্মতের সত্তর হাজার মানুষ রয়েছে। যারা বিনা হিসাব-নিকাশ ও আজাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। কাফেদের হিসাব এবং কর্মসমূহ পেশ করা হবে তাদেরকে তিরস্কার করার জন্য। তাদের আজাব বিভিন্ন ধরনের হবে।

সুতরাং যার পাপ বেশী হবে, তার শাস্তিও বেশি হবে। আর যার পাপ কম হবে তার শাস্তি কম হবে। আর যার পূণ্য থাকবে তার আজাব হালকা করা হবে কিন্তু জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম উম্মতে মুহাম্মাদীর হিসাব-নিকাশই অনুষ্ঠিত হবে। আল্লাহর হকের মধ্যে সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।

যদি নামাজের সঠিক হয় তবে বাকি সব আমল তার ঠিক হবে। আর যদি নামাজ বিনষ্ট হয় তাহলে বাকি সবআমলই তার বিনষ্ট হবে। আর বান্দার হকের মধ্য হতে সর্বপ্রথম মানুষের বিচারহবে খুনের অপরাধের।

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে সহজে হিসাব প্রদান করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর বিধি-বিধান পালনের তাওফিক দান করুন। হাশরের ময়দানে হিসাব প্রদানের কঠিন দিনে আল্লাহর রহমত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

বোয়ালখালীতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আত বাংলাদেশ  পোপাদিয়া শাখার শুকনা ইফতার বিতরন

হাশরের ময়দানে মানুষের হিসাবের ধরণ

আপডেট সময় ১১:০৮:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

কালেরপত্র ডেষ্ক :

জরত আবু বারযা আসলামি রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কিয়ামতের দিন বান্দার দুটি পা ততক্ষণ পর্যন্ত নড়াতে পারবে না; যতক্ষণ না তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে যে, তোমার জিন্দিগি কোথায় ব্যয় করেছ? জ্ঞানানুসারে কি আমল করেছ? সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছ আর কিসে খরচ করেছ এবং তোমার শরীরকে কী কাজে নিঃশেষ করেছ?’ (তিরমিজি, দারেমি) হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, হাশরের ময়দানে প্রত্যেক বনি আদমকেই আল্লাহ তাআলার দরবারে তার কর্মের হিসাব দিতে হবে। হাশরের ময়দানে হিসাব-নিকাশ হবে দু ধরনের।

প্রথমত : যাদের হিসাব সহজ হবে, তাদের হিসাব-নিকাশ পেশ করা হবে। হাদিসে এসেছে-
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কিয়ামতের দিন যে কারো হিসাব নেয়া হবে; সে ধ্বংস হবে।’ আমি (আয়েশা) বললাম, ইয়া রাসুলুল্লাহা! আল্লাহ তাআলা কি এরশাদ করেন নাই, ‘আর যার ডান হাতে আমলনামা দেয়া হবে তার হিসাব-নিকাশ সহজ হবে।’ (সুরা ইনশিকাক : আয়াত ৭-৮)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘এতো শুধু (আমলনামা) পেশ মাত্র; কারণ কিয়ামতের দিন যে কারো হিসাব পর্যবেক্ষণ করা হবে সে নির্ঘাত আজাবে নিপতিত হবে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

দ্বিতীয়ত : যাদের হিসাব-নিকাশ শক্তভাবে নেয়া হবে
ছোট-বড় সব ব্যাপারেই প্রত্যেককে জিজ্ঞাসা করা হবে। জিজ্ঞাসাবাদে যদি সত্য বলে তাহলে ভালই। আর যদি মিথ্যা বলার বা গোপন করার চেষ্টা করে, তবে হিসাব-নিকাশের দিন তার মুখে মোহর মেরে দেয়া হবে এবং তার অঙ্গ-প্রতঙ্গকে কথা বলার জন্য বলা হবে।

আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর মেরে দেব; তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ৬৫)

কিয়ামতের দিনে সব মানুষের হিসাব হবে। কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাদেরকে এর আওতামুক্ত রেখেছেন; তারা ব্যতীত। যেমন-

এ উম্মতের সত্তর হাজার মানুষ রয়েছে। যারা বিনা হিসাব-নিকাশ ও আজাব ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করবে। কাফেদের হিসাব এবং কর্মসমূহ পেশ করা হবে তাদেরকে তিরস্কার করার জন্য। তাদের আজাব বিভিন্ন ধরনের হবে।

সুতরাং যার পাপ বেশী হবে, তার শাস্তিও বেশি হবে। আর যার পাপ কম হবে তার শাস্তি কম হবে। আর যার পূণ্য থাকবে তার আজাব হালকা করা হবে কিন্তু জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।

কিয়ামতের দিন সর্বপ্রথম উম্মতে মুহাম্মাদীর হিসাব-নিকাশই অনুষ্ঠিত হবে। আল্লাহর হকের মধ্যে সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে।

যদি নামাজের সঠিক হয় তবে বাকি সব আমল তার ঠিক হবে। আর যদি নামাজ বিনষ্ট হয় তাহলে বাকি সবআমলই তার বিনষ্ট হবে। আর বান্দার হকের মধ্য হতে সর্বপ্রথম মানুষের বিচারহবে খুনের অপরাধের।

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুহাম্মাদিকে সহজে হিসাব প্রদান করার তাওফিক দান করুন। কুরআন-সুন্নাহর বিধি-বিধান পালনের তাওফিক দান করুন। হাশরের ময়দানে হিসাব প্রদানের কঠিন দিনে আল্লাহর রহমত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।