ঢাকা ০৮:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ৬ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোর আওতা সংশোধন Logo বোয়ালখালী শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী Logo উন্নয়ন কাজের বরাদ্ধ ও বাস্তবায়নের হার ছবিসহ জমা দিতে হবেঃ জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা Logo বাগমনিরাম ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি আজিম, সম্পাদক বাবু Logo ২০১৪ সালের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী Logo ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি। Logo আমেরিকার বড় বিপদ হতে পারে সারগাসাম Logo নৌকার জয় দুই উপজেলায় Logo আহলা দরবার শরীফে হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ)’র ওরশ শরীফ আজ Logo রোজায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ালে ব্যবস্থা নিতে ডিসিদের নির্দেশ
ই-পেপার দেখুন

শবেবরাতে নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত নেই

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৭:৫১:২০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩
  • ৫৪০ বার পঠিত

ডেক্স::শবেবরাতের নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত ও আমল নেই। তবে বিশেষ কিছু আমল করা যায়। আর বিশুদ্ধ মতানুসারে শবেবরাত ও শবেকদরের নফল আমলগুলো একাকী করণীয়। ফরজ নামাজ অবশ্যই মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। এরপর যা কিছু নফল পড়ার, তা নিজ নিজ ঘরে একাকী পড়বে। তবে এ আমলগুলো করা যায়

১. এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা।

২. দীর্ঘ সেজদায় দীর্ঘ নফল নামাজ পড়া। দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব এবং যে সুরা দিয়ে সম্ভব পড়তে থাকা। নির্দিষ্ট সুরা ও নির্ধারিত রাকাত-সংখ্যার কোনো নিয়ম নেই। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘এ রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে অনেক দীর্ঘ সময় ধরে সেজদাবনত অবস্থায় পড়ে থাকতেন।’ (শুআবুল ঈমান বায়হাকি, হাদিস : ৩৫৫৪, তুহফাতুল আহওয়াজি : ৩/৩৬৭)

৩. সালাতুল হাজত পড়া। মনের নেক আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আল্লাহর রহমতের শরণাপন্ন হয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়া। এরপর আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি সালাম প্রেরণ করে আল্লাহর কাছে মনোবাসনা পূরণের জন্য দোয়া করা। (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)

৪. সালাতুত তাসবিহ পড়া। এটি চার রাকাতবিশিষ্ট নফল নামাজ। প্রতি রাকাতে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ ৭৫ বার করে চার রাকাতে মোট ৩০০ বার পড়া। হাদিসে আছে, ‘মহান আল্লাহ এ নামাজ আদায়কারীর প্রথম-শেষ, অতীত-বর্তমান, ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত, ছোট-বড় এবং প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৯৭, রদ্দুল মুহতার : ২/২৭)

৫. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ পাঠ, জিকির-আজকারে মশগুল থাকা। (সুরা আহজাব, আয়াত : ৪১, মুসলিম, হাদিস : ৪০৮, দারেমি, হাদিস : ৩৩৮৪)

৬. তাওবা-ইস্তেগফার করা, সব মুমিন-মুসলমানের ইহকালীন-পরকালীন কল্যাণ ও ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে রাত কাটিয়ে দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কাঁদো! যদি কাঁদতে না পারো তাহলে কাঁদার ভান করো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৯৬)

৭. তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। ইশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত নফল নামাজ আদায় করা হয়। এটাকে ‘সালাতুল লাইল’ বা তাহাজ্জুদ নামাজ বলে। তাহাজ্জুদ শেষ রাতে পড়া উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্কৃষ্ট নামাজ হচ্ছে রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩, ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৪/২২৩, ২২৭)

৮. শবেবরাতের পরের দিন রোজা রাখা। এটি মুস্তাহাব আমল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা অর্ধ শাবানের রজনী ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো।’ তা ছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার কথা সহিহ হাদিসে এসেছে এবং ওই দিন ‘আইয়ামে বিজ’ (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ)-এর অন্তর্ভুক্ত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৮, লাতায়িফুল মাআরিফ : ১/১৫১-১৫৭)

সূত্র ‌° কালের কন্ঠ ::

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

9 + 1 =

ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোর আওতা সংশোধন

শবেবরাতে নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত নেই

আপডেট সময় ০৭:৫১:২০ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ৭ মার্চ ২০২৩

ডেক্স::শবেবরাতের নির্দিষ্ট কোনো ইবাদত ও আমল নেই। তবে বিশেষ কিছু আমল করা যায়। আর বিশুদ্ধ মতানুসারে শবেবরাত ও শবেকদরের নফল আমলগুলো একাকী করণীয়। ফরজ নামাজ অবশ্যই মসজিদে জামাতের সঙ্গে আদায় করতে হবে। এরপর যা কিছু নফল পড়ার, তা নিজ নিজ ঘরে একাকী পড়বে। তবে এ আমলগুলো করা যায়

১. এশা ও ফজরের নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা।

২. দীর্ঘ সেজদায় দীর্ঘ নফল নামাজ পড়া। দুই রাকাত করে যত রাকাত সম্ভব এবং যে সুরা দিয়ে সম্ভব পড়তে থাকা। নির্দিষ্ট সুরা ও নির্ধারিত রাকাত-সংখ্যার কোনো নিয়ম নেই। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘এ রাতে রাসুলুল্লাহ (সা.) নামাজে অনেক দীর্ঘ সময় ধরে সেজদাবনত অবস্থায় পড়ে থাকতেন।’ (শুআবুল ঈমান বায়হাকি, হাদিস : ৩৫৫৪, তুহফাতুল আহওয়াজি : ৩/৩৬৭)

৩. সালাতুল হাজত পড়া। মনের নেক আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণের জন্য আল্লাহর রহমতের শরণাপন্ন হয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়া। এরপর আল্লাহর প্রশংসা ও রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর প্রতি সালাম প্রেরণ করে আল্লাহর কাছে মনোবাসনা পূরণের জন্য দোয়া করা। (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)

৪. সালাতুত তাসবিহ পড়া। এটি চার রাকাতবিশিষ্ট নফল নামাজ। প্রতি রাকাতে ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদুলিল্লাহি ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ ৭৫ বার করে চার রাকাতে মোট ৩০০ বার পড়া। হাদিসে আছে, ‘মহান আল্লাহ এ নামাজ আদায়কারীর প্রথম-শেষ, অতীত-বর্তমান, ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত, ছোট-বড় এবং প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য সব (সগিরা) গুনাহ ক্ষমা করে দেন।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১২৯৭, রদ্দুল মুহতার : ২/২৭)

৫. বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ পাঠ, জিকির-আজকারে মশগুল থাকা। (সুরা আহজাব, আয়াত : ৪১, মুসলিম, হাদিস : ৪০৮, দারেমি, হাদিস : ৩৩৮৪)

৬. তাওবা-ইস্তেগফার করা, সব মুমিন-মুসলমানের ইহকালীন-পরকালীন কল্যাণ ও ক্ষমাপ্রার্থনা করা এবং দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে কান্নাকাটি করে রাত কাটিয়ে দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘কাঁদো! যদি কাঁদতে না পারো তাহলে কাঁদার ভান করো।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১৯৬)

৭. তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। ইশার নামাজের পর থেকে সুবহে সাদিক পর্যন্ত নফল নামাজ আদায় করা হয়। এটাকে ‘সালাতুল লাইল’ বা তাহাজ্জুদ নামাজ বলে। তাহাজ্জুদ শেষ রাতে পড়া উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্কৃষ্ট নামাজ হচ্ছে রাতের তাহাজ্জুদ নামাজ।’ (মুসলিম, হাদিস : ১১৬৩, ফাতাওয়া দারুল উলুম : ৪/২২৩, ২২৭)

৮. শবেবরাতের পরের দিন রোজা রাখা। এটি মুস্তাহাব আমল। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা অর্ধ শাবানের রজনী ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং দিনের বেলা রোজা রাখো।’ তা ছাড়া শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখার কথা সহিহ হাদিসে এসেছে এবং ওই দিন ‘আইয়ামে বিজ’ (চন্দ্র মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ)-এর অন্তর্ভুক্ত। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৮, লাতায়িফুল মাআরিফ : ১/১৫১-১৫৭)

সূত্র ‌° কালের কন্ঠ ::