ঢাকা ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সৌদি আরবই এখন স্থায়ী ঠিকানা : ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো Logo শ্রীমৎ নির্মলানন্দ গিরি মহারাজ তিরোধান উৎসব সম্পন্ন Logo “মানবতার কল্যাণে জাফর-মিনু ফাউন্ডেশনের অবদান” Logo বোয়ালখালীতে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসব অনুষ্ঠিত Logo বোয়ালখালীতে রথযাত্রা উপলক্ষে ছন্দারীয়া গ্রামে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত Logo ড্রোন না মশা? চীনার নতুন অস্ত্র Logo ১৭ বছর লুট, ১৪ বছর অভুক্ত—জামায়াত সে দল নয়’—বোয়ালখালীতে অধ্যাপক আহসান উল্লাহ Logo বোয়ালখালীতে মাদক ব্যবসায়ীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড Logo ফটিকছড়িতে সোনালী ব্যাংকের ঋণ আদায়ে বিশেষ কর্মসূচি Logo বোয়ালখালীতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি, দাবি ৬ দফার বাস্তবায়ন
ই-পেপার দেখুন

নগদের দোকানে হামলা, বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুলসহ কয়েকজনের নামে মামলা

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ১২:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ৮৯৩ বার পঠিত

খুলনায় নগদের দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটপাটের অভিযোগে জেলা বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সুমন ও হেড অব সেলস ইরফানুল হকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) খুলনা সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলা নম্বর- ১৮। নগদের জেলা ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের ম্যানেজার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১২ এপ্রিল খুলনা থানাধীন সাতরাস্থা মোডের মদিনা বেকারির সামনে বিভিন্ন দোকানে নগদের প্যানা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলতে শুরু করেন জেলা বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সুমন, যিনি মামলার এক নম্বর আসামি। তার সঙ্গে ছিলেন বিকাশে কর্মরত মহসিন, তনু, মিল্টন, জিএম আজিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান জুয়েল, মো. মুর্শিদুজ্জামানসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজন।

 

এছাড়া বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হক ও মোর্শেদুজ্জামানের নির্দেশে এ হামলা, ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটপাট করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়।

 

এজহারে আরও বলা হয়, হামলার সময় নগদের কর্মচারী মো. রাব্বি হোসেন ও মো. মেহবার হোসেনকে মারধর করা হয়। পরে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

এ বিষয়ে খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, সারাদেশে বিকাশ ও নগদের ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে নানা সময় এ ধরনের ঝামেলার কথা শুনা গেছে।

 

প্রসঙ্গত, নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করে বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল হুন্ডি কারবার করা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তে সিআইডি জানতে পারে; এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ (৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার) পাচার করেছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা।

 

গ্রেপ্তার হওয়া অধিংকাশই বিকাশের এজেন্ট। এসব অর্থপাচারকারীদের সঙ্গেও বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হকের যোগসূত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।এ বিষয়ে বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হককে ফোন করলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সূত্র:- ঢাকাটাইমস::

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

সৌদি আরবই এখন স্থায়ী ঠিকানা : ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

নগদের দোকানে হামলা, বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুলসহ কয়েকজনের নামে মামলা

আপডেট সময় ১২:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

খুলনায় নগদের দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটপাটের অভিযোগে জেলা বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সুমন ও হেড অব সেলস ইরফানুল হকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) খুলনা সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলা নম্বর- ১৮। নগদের জেলা ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের ম্যানেজার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১২ এপ্রিল খুলনা থানাধীন সাতরাস্থা মোডের মদিনা বেকারির সামনে বিভিন্ন দোকানে নগদের প্যানা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলতে শুরু করেন জেলা বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সুমন, যিনি মামলার এক নম্বর আসামি। তার সঙ্গে ছিলেন বিকাশে কর্মরত মহসিন, তনু, মিল্টন, জিএম আজিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান জুয়েল, মো. মুর্শিদুজ্জামানসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজন।

 

এছাড়া বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হক ও মোর্শেদুজ্জামানের নির্দেশে এ হামলা, ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটপাট করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়।

 

এজহারে আরও বলা হয়, হামলার সময় নগদের কর্মচারী মো. রাব্বি হোসেন ও মো. মেহবার হোসেনকে মারধর করা হয়। পরে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

এ বিষয়ে খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, সারাদেশে বিকাশ ও নগদের ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে নানা সময় এ ধরনের ঝামেলার কথা শুনা গেছে।

 

প্রসঙ্গত, নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করে বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল হুন্ডি কারবার করা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তে সিআইডি জানতে পারে; এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ (৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার) পাচার করেছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা।

 

গ্রেপ্তার হওয়া অধিংকাশই বিকাশের এজেন্ট। এসব অর্থপাচারকারীদের সঙ্গেও বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হকের যোগসূত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।এ বিষয়ে বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হককে ফোন করলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সূত্র:- ঢাকাটাইমস::