ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অক্টোবর ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের ২য় ‘ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয় Logo বোয়ালখালীতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে ৪৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন Logo সেনাবাহিনীর কমিশন্ড অফিসারদের দুই মাসের জন্য নির্বাহী Logo সাবেক এমপি মইন উদ্দীন খান বাদলের কবরে হামলা, ভাংচুর Logo আবু সাঈদের কবর জিয়ারত করলেন ড. ইউনূস Logo চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্যকে বেধড়ক পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। Logo ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের সবাইকে কর্মস্থলে ফেরার নির্দেশ Logo অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়: সেনাপ্রধান Logo বোয়ালখালীতে স্কাউটস সদস্যদের ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান Logo আনন্দ মিছিল শেষে ফেরার পথে পুলিশের গুলিতে নিহত ওমর
ই-পেপার দেখুন

নগদের দোকানে হামলা, বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুলসহ কয়েকজনের নামে মামলা

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ১২:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  • ৭৩৮ বার পঠিত

খুলনায় নগদের দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটপাটের অভিযোগে জেলা বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সুমন ও হেড অব সেলস ইরফানুল হকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) খুলনা সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলা নম্বর- ১৮। নগদের জেলা ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের ম্যানেজার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১২ এপ্রিল খুলনা থানাধীন সাতরাস্থা মোডের মদিনা বেকারির সামনে বিভিন্ন দোকানে নগদের প্যানা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলতে শুরু করেন জেলা বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সুমন, যিনি মামলার এক নম্বর আসামি। তার সঙ্গে ছিলেন বিকাশে কর্মরত মহসিন, তনু, মিল্টন, জিএম আজিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান জুয়েল, মো. মুর্শিদুজ্জামানসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজন।

 

এছাড়া বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হক ও মোর্শেদুজ্জামানের নির্দেশে এ হামলা, ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটপাট করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়।

 

এজহারে আরও বলা হয়, হামলার সময় নগদের কর্মচারী মো. রাব্বি হোসেন ও মো. মেহবার হোসেনকে মারধর করা হয়। পরে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

এ বিষয়ে খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, সারাদেশে বিকাশ ও নগদের ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে নানা সময় এ ধরনের ঝামেলার কথা শুনা গেছে।

 

প্রসঙ্গত, নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করে বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল হুন্ডি কারবার করা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তে সিআইডি জানতে পারে; এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ (৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার) পাচার করেছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা।

 

গ্রেপ্তার হওয়া অধিংকাশই বিকাশের এজেন্ট। এসব অর্থপাচারকারীদের সঙ্গেও বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হকের যোগসূত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।এ বিষয়ে বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হককে ফোন করলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সূত্র:- ঢাকাটাইমস::

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ট্রাফিক-দক্ষিণ বিভাগের ২য় ‘ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়

নগদের দোকানে হামলা, বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুলসহ কয়েকজনের নামে মামলা

আপডেট সময় ১২:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৩

খুলনায় নগদের দোকানে হামলা, ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটপাটের অভিযোগে জেলা বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সুমন ও হেড অব সেলস ইরফানুল হকসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) খুলনা সদর থানায় মামলা করা হয়। মামলা নম্বর- ১৮। নগদের জেলা ডিস্ট্রিবিউটর অফিসের ম্যানেজার খলিলুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১২ এপ্রিল খুলনা থানাধীন সাতরাস্থা মোডের মদিনা বেকারির সামনে বিভিন্ন দোকানে নগদের প্যানা, ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলতে শুরু করেন জেলা বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সুমন, যিনি মামলার এক নম্বর আসামি। তার সঙ্গে ছিলেন বিকাশে কর্মরত মহসিন, তনু, মিল্টন, জিএম আজিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান জুয়েল, মো. মুর্শিদুজ্জামানসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজন।

 

এছাড়া বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হক ও মোর্শেদুজ্জামানের নির্দেশে এ হামলা, ভাঙচুর ও নগদ টাকা লুটপাট করা হয় বলেও এজহারে উল্লেখ করা হয়।

 

এজহারে আরও বলা হয়, হামলার সময় নগদের কর্মচারী মো. রাব্বি হোসেন ও মো. মেহবার হোসেনকে মারধর করা হয়। পরে তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

 

এ বিষয়ে খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, বিকাশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তারের পুলিশ সচেষ্ট রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, সারাদেশে বিকাশ ও নগদের ব্যবসা সম্প্রসারণ নিয়ে নানা সময় এ ধরনের ঝামেলার কথা শুনা গেছে।

 

প্রসঙ্গত, নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) ব্যবহার করে বিলিয়ন ডলারের ডিজিটাল হুন্ডি কারবার করা ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তদন্তে সিআইডি জানতে পারে; এক বছরে ৭৫ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ (৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার) পাচার করেছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা।

 

গ্রেপ্তার হওয়া অধিংকাশই বিকাশের এজেন্ট। এসব অর্থপাচারকারীদের সঙ্গেও বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হকের যোগসূত্র রয়েছে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।এ বিষয়ে বিকাশের হেড অব সেলস ইরফানুল হককে ফোন করলেও তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

সূত্র:- ঢাকাটাইমস::