ঢাকা রবিবার, ১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ই-পেপার দেখুন

ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়, আর কড়াকড়ি মানছেন না যাত্রীরা

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ১০:৫৯:২০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩
  • ৫৮৭ বার পঠিত

ঢাকা: ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন সন্ধ্যার পর যাত্রীর চাপ বেড়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। যাত্রীর চাপে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় ট্রেনগুলোতে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদেও বাড়ির পথ ধরছেন হাজারো মানুষ। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি যেমন পোহাতে হচ্ছে, তেমনি আরেকদিকে বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। ভেতরে জায়গা না পেয়ে যাত্রীদের অনেকে উঠে পড়েন ট্রেনের ছাদে। আবার ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সময় অনেক যাত্রীকে দরজায় ঝুলতেও দেখা যায়।

রেলওয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা চেষ্টা করেও ট্রেনের ছাদে ওঠা যাত্রীদের নামাতে পারেননি। ফলে ছাদে যাত্রী নিয়েই গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গিয়েছে বিভিন্ন ট্রেন।

মূলত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পোশাকসহ বিভিন্ন কারখানার ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় যাত্রীদের এই চাপ। এমনটিই জানা গেছে।

রাত ৮টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায় ট্রেনটি। পাশাপাশি যাত্রীতে ভরে যায় পুরো ছাদ। এরপর আনসার ও রেলওয়ে পুলিশ লাঠিচার্জসহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও মাত্র কয়েকজনকেই ছাদ থেকে নামাতে পেরেছেন। পরে প্রায় ৫০ মিনিট দেরিতে ছাদে যাত্রীসহ প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

রাত সাড়ে ৮টায় ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে পঞ্চগড়গামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস। সেটিতেও একই অবস্থা দেখা যায়। ছাদ ও ভেতরে ঠাসা যাত্রী নিয়ে রাত ৯টায় ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

এদিকে ট্রেনের ছাদে ওঠা যাত্রীদের বেশির ভাগেরই টিকিট ছিল না। ভেতরেও প্রবেশ করা অনেক যাত্রীরও টিকিট ছিল না। ফলে আগাম টিকিট কাটা অনেক যাত্রী টিকিট থাকার পরও যেতে পারেননি। তিন স্তরের টিকিট চেকের ব্যবস্থা থাকার পরও টিকেটবিহীন যাত্রীরা অনেকটা জোর করেই প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, কাল থেকে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা অতিক্রম করে জোর করে ভেতরে ঢুকছেন, ছাদে উঠছেন। আমাদের রেলওয়ে পুলিশ তো নিরস্ত্র, কিন্তু আনসার, র‍্যাব অস্ত্রধারী হয়েও কিছু করতে পারছে না।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

thirteen − 12 =

শনিবার থেকে চট্টগ্রাম  ‍নগরে চলবে ‘পর্যটক বাস’

ট্রেনে উপচে পড়া ভিড়, আর কড়াকড়ি মানছেন না যাত্রীরা

আপডেট সময় ১০:৫৯:২০ অপরাহ্ণ, বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৩

ঢাকা: ঈদযাত্রার চতুর্থ দিন সন্ধ্যার পর যাত্রীর চাপ বেড়েছে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। যাত্রীর চাপে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় ট্রেনগুলোতে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদেও বাড়ির পথ ধরছেন হাজারো মানুষ। এতে একদিকে যাত্রীদের ভোগান্তি যেমন পোহাতে হচ্ছে, তেমনি আরেকদিকে বিলম্বে ছাড়ছে ট্রেন।

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলোতে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ। ট্রেন প্ল্যাটফর্মে আসার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। ভেতরে জায়গা না পেয়ে যাত্রীদের অনেকে উঠে পড়েন ট্রেনের ছাদে। আবার ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার সময় অনেক যাত্রীকে দরজায় ঝুলতেও দেখা যায়।

রেলওয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ও আনসার সদস্যরা চেষ্টা করেও ট্রেনের ছাদে ওঠা যাত্রীদের নামাতে পারেননি। ফলে ছাদে যাত্রী নিয়েই গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে গিয়েছে বিভিন্ন ট্রেন।

মূলত শুক্রবার (২১ এপ্রিল) থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও পোশাকসহ বিভিন্ন কারখানার ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় যাত্রীদের এই চাপ। এমনটিই জানা গেছে।

রাত ৮টায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে যায় ট্রেনটি। পাশাপাশি যাত্রীতে ভরে যায় পুরো ছাদ। এরপর আনসার ও রেলওয়ে পুলিশ লাঠিচার্জসহ বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও মাত্র কয়েকজনকেই ছাদ থেকে নামাতে পেরেছেন। পরে প্রায় ৫০ মিনিট দেরিতে ছাদে যাত্রীসহ প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

রাত সাড়ে ৮টায় ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসে পঞ্চগড়গামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস। সেটিতেও একই অবস্থা দেখা যায়। ছাদ ও ভেতরে ঠাসা যাত্রী নিয়ে রাত ৯টায় ১৫ মিনিট দেরিতে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।

এদিকে ট্রেনের ছাদে ওঠা যাত্রীদের বেশির ভাগেরই টিকিট ছিল না। ভেতরেও প্রবেশ করা অনেক যাত্রীরও টিকিট ছিল না। ফলে আগাম টিকিট কাটা অনেক যাত্রী টিকিট থাকার পরও যেতে পারেননি। তিন স্তরের টিকিট চেকের ব্যবস্থা থাকার পরও টিকেটবিহীন যাত্রীরা অনেকটা জোর করেই প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করেন।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক মাসুদ সারোয়ার বাংলানিউজকে বলেন, কাল থেকে গার্মেন্টস ছুটি হওয়ায় যাত্রীর চাপ বেড়েছে। তারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা অতিক্রম করে জোর করে ভেতরে ঢুকছেন, ছাদে উঠছেন। আমাদের রেলওয়ে পুলিশ তো নিরস্ত্র, কিন্তু আনসার, র‍্যাব অস্ত্রধারী হয়েও কিছু করতে পারছে না।