ঢাকা ০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার দেখুন

আজ এক গভীর শোক ও শ্রদ্ধার দিন

আজ এক গভীর শোক ও শ্রদ্ধার দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের—শিক্ষক, চিকিৎসক, অধ্যাপক, লেখক, সাংবাদিকসহ জাতির মেধাবী সন্তানদের। স্বাধীনতার ঠিক প্রাক্কালে দেশকে মেধাশূন্য করতেই এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।

যারা আজীবন দেশ, মানুষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবেছেন, যারা কলম, মেধা ও মনন দিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন—তাদের রক্তের বিনিময়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। ডিসেম্বর এলেই তাই বেদনার সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধায় নত হয় পুরো জাতি।

বিশেষ করে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সব সাংবাদিক ভাইদের, যারা কলমের সৈনিক হয়েও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর অপরাধেই তারা প্রাণ দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং মহান আল্লাহর কাছে তাদের সৎগতি ও আত্মার শান্তি  কামনা করি। আমরা বিশ্বাস করি—শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ যদি আমরা মনে-প্রাণে ধারণ করতে পারি, তবে আগামীর প্রজন্ম একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় এই দিনটি পালন করে যাচ্ছে। আমরা চাই, শুধু স্মরণ নয়—শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ও চেতনাই হোক রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি।

মো. মুজাহিদুল ইসলাম
সাবেক অর্থ সম্পাদক,চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

আজ এক গভীর শোক ও শ্রদ্ধার দিন

আপডেট সময় ০৩:৪০:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আজ এক গভীর শোক ও শ্রদ্ধার দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসররা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিল বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের—শিক্ষক, চিকিৎসক, অধ্যাপক, লেখক, সাংবাদিকসহ জাতির মেধাবী সন্তানদের। স্বাধীনতার ঠিক প্রাক্কালে দেশকে মেধাশূন্য করতেই এই নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছিল।

যারা আজীবন দেশ, মানুষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবেছেন, যারা কলম, মেধা ও মনন দিয়ে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন—তাদের রক্তের বিনিময়েই আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা। ডিসেম্বর এলেই তাই বেদনার সঙ্গে সঙ্গে শ্রদ্ধায় নত হয় পুরো জাতি।

বিশেষ করে একজন সংবাদকর্মী হিসেবে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি সেই সব সাংবাদিক ভাইদের, যারা কলমের সৈনিক হয়েও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানোর অপরাধেই তারা প্রাণ দিয়েছেন। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের জন্য চিরন্তন অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমরা শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি এবং মহান আল্লাহর কাছে তাদের সৎগতি ও আত্মার শান্তি  কামনা করি। আমরা বিশ্বাস করি—শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আদর্শ, দেশপ্রেম ও মূল্যবোধ যদি আমরা মনে-প্রাণে ধারণ করতে পারি, তবে আগামীর প্রজন্ম একটি ন্যায়ভিত্তিক ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে।

রাষ্ট্রীয়ভাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রতিবছর যথাযোগ্য মর্যাদায় এই দিনটি পালন করে যাচ্ছে। আমরা চাই, শুধু স্মরণ নয়—শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বপ্ন ও চেতনাই হোক রাষ্ট্র পরিচালনার মূল ভিত্তি।

মো. মুজাহিদুল ইসলাম
সাবেক অর্থ সম্পাদক,চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন