চীনের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি গবেষণায় এক অভিনব অগ্রগতি দেখা দিয়েছে। দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ডিফেন্স টেকনলোজি (এনইউডিটি)বিজ্ঞানীরা তৈরি করেছেন একটি মশার আকৃতির ড্রোন, যা গোপন নজরদারি এবং সামরিক অভিযানে ব্যবহারের লক্ষ্যে ডিজাইন করা হয়েছে।
প্রায় ২ সেন্টিমিটার দৈর্ঘ্যের এই ছোট্ট ডিভাইসটিতে রয়েছে ন্যানো ডানা, অতি ক্ষুদ্র ক্যামেরা ও মাইক্রোফোন। দেখতে অনেকটা প্রকৃত মশার মতো হওয়ায় এটি খালি চোখে শনাক্ত করা কঠিন এবং প্রচলিত রাডারেও ধরা পড়ে না।
এ প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য হলো, মশার মতো উড়তে পারে, স্মার্টফোন দ্বারা নিয়ন্ত্রণযোগ্য, ক্ষুদ্র ক্যামেরা ও অডিও রেকর্ডার সংযুক্ত,গোপন অভিযান ও সীমিত এলাকায় নজরদারিতে উপযোগী।
তবে প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরনের ড্রোনের ব্যাটারি সীমিত হওয়ায় দীর্ঘ সময় ধরে কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। ফলে এটি স্বল্প-মেয়াদী নজরদারির জন্য বেশি উপযোগী।
এ প্রযুক্তির ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, এ ধরনের প্রযুক্তি অপরাধীরা যদি অপব্যবহার করে তবে তা গোপন তথ্য চুরি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
এই ড্রোনটি সম্পর্কে সর্বপ্রথম চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভি-৭ ২০২৫ সালের ২০ জুন প্রচারিত হয়। এরপর হংকং থেকে প্রকাশিত সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট সংবাদপত্রে একই দিনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যেখানে ড্রোনটির প্রযুক্তিগত দিক ও নির্মাতাদের মন্তব্য উঠে আসে। পরে ফার্সপোস্ট, ইকোনমিক টাইমস, টাইমস অফ ইন্ডিয়া–সহ একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এটি বিশ্লেষণসহ প্রকাশিত হয়।