চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে বসতবাড়িতে মদ ও গাঁজা মজুদ রাখার দায়ে এক মাদক ব্যবসায়ীকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই অভিযানে দুই মাদকসেবীকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে পৌর সদরের পশ্চিম গোমদণ্ডী ছৈয়দ মোহাম্মদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এই সাজা দেওয়া হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বোয়ালখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কানিজ ফাতেমা।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, আটক ব্যক্তি মো. ওয়াসিম (৫০) তার বাড়ির আশেপাশে ময়লার স্তূপে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৮০০ গ্রাম গাঁজা এবং পুকুরে রাখা প্লাস্টিকের বস্তায় ২২ লিটার চোলাই মদ লুকিয়ে রেখেছিলেন। তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউসুফ তালুকদার বাড়ির জিয়া উদ্দিন আইমন (২৪) এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আমির আলী বাপের বাড়ির তৌহিদ (১৯) মাদক সেবনের দায়ে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কানিজ ফাতেমা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের একটি ইউনিটের সহযোগিতায় মাদক বিরোধী এ অভিযান চালানো হয়। ধৃত ওয়াসিমের বসতবাড়ির আাশেপাশে ময়লার স্তুপে পলিথিনের মোড়কে লুকিয়ে রাখা ৮০০ গ্রাম গাঁজা এবং পুকুর থেকে প্লাস্টিকের পলিথিনের বস্তা ভর্তি ২২ লিটার চোলাই মদ জব্দ করা হয়। ওয়াসিম এসব মাদক তার বলে নিশ্চিত করে অপরাধ স্বীকার করেছেন। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ওয়াসিমকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খ সার্কেল ইউনিটের উপ-পরিদর্শক এ কে এম আজাদ উদ্দিন বলেন, মাদক ব্যবসায়ী ওয়াসিমকে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পৃথক আদালতে দুই সেবনকারীকেও উভয়দণ্ডে সাজা দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্তদের আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। জব্দকৃত মাদক উপস্থিত সকলের সামনে ধ্বংস করা হয়েছে।
২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।