ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ কলেজে নবীন বরণ  Logo বোয়ালখালীতে হাওলা কুতুবিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসায় ছবক অনুষ্ঠান Logo বোয়ালখালী সিরাজুল ইসলাম কলেজে নবীন বরণ Logo অগ্নি দুর্গত ৯ পরিবারকে ইউএনওর সহায়তা Logo আগুনে পুড়ল বোয়ালখালীতে ৫ বসতঘর Logo শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকরা চোখ রাঙানিকে ভয় পায় না- মোস্তাক আহমদ খান Logo বোয়ালখালীতে খান ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ  দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক প্রশিক্ষণ Logo এদেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ৪৭ বছর ধরে লড়াই করে আসছে বিএনপি -মোস্তাক আহমদ খান Logo বোয়ালখালীতে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা Logo বোয়ালখালী ইঞ্জিনিয়ার্স এসোসিয়েশনের উদ্যোগে আইডি ও সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠান
ই-পেপার দেখুন

নূর সোপ নামে চট্টগ্রামে অবৈধ অনুমোদনহীন সাবান ও ওয়াশিং পাউডার তৈয়ারীর কারখানা।

বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়ায় অবৈধ অনুমোদনহীন সাবান ও ওয়াশিং পাউডার তৈয়ারীর কারখানার সন্ধান মেলেছে।ওই কারখানাটি পটিয়ার প্যাচারিয়া বাজারে পটিয়া- চট্টগ্রাম মহাসড়কেই অবস্হিত ।’নূর সাবান ইন্ডাস্ট্রি’ নামে এই কারখানায় অবৈধ সাবান ও ওয়াশিং পাউডার তৈয়ারি হয়। নোংরা পরিবেশ ও বিষাক্ত ক্যামিকেল ব্যবহার করে দিন রাত উৎপাদন হয় এসব ভেজাল পণ্য।

মানবদেহের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর সাবান ও ওয়াশিং পাউডার নির্বিঘ্নে চললেও ফ্যাসিবাদের দোসর মালিক হওয়ায় কেউ বাধা তো দূরের কথা মুখও খুলেনি।। সরেজমিন পরিদর্শনকালে পরিবেশ, ফায়ার সার্ভিস, বিএসটিআই, ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাঁট চালান কিছু দেখাতে পারেনি । কম খরছে অধিক লাভের আশায়, অনুমোদনবিহীন সাবান ও ওয়াশিং পাউডার প্যাকেট জাত করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে ফ্যাক্টরির মালিক মো: রেজাউল করিম।যদিও তিনি মুঠোফোনে নিজেকে মালিক নয় বলে দাবী করে।

সরেজমিনে কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায় বর্জ্য পদার্থ ও মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর ক্যামিকেল ও রং দিয়ে ফ্যাক্টরির কর্মীরা এখানে সাবান ও য়াশিং পাউডার তৈরি ও প্যাকেটজাত করে চলছে।অধিকাংশ শিশুরাই এই কারখানার কর্মী ও জনবল।এই সাবান ব্যবহার করলে চর্ম রোগসহ চামড়াজনিত নানান রোগ হতে পারে বলে এক অভিজ্ঞ চর্ম চিকিৎসক জানান।

খবর নিয়ে জানা যায় নূর সাবান ফ্যাক্টরির আড়ালে কোন ট্রেড মার্ক ছাড়াই উন্নত ব্যান্ডের প্যাকেটে প্রতিদিন সরবরাহ করা হয়।জানা গেছে, নোংরা পানি,বিষাক্ত ক্যামিকেল ও হরেক রকম রং ব্যবহার করা হয় এই ফ্যাক্টরিতে।বড় বড় নামকরা কোম্পানীর মোড়ক তারা ব্যবহার করে । ফলে প্রকৃত ক্রেতারা দিন দিন ঠকলেও লাভবান হচ্ছে নূর সাবান ফ্যাক্টরির মালিকপক্ষ।

অনুসন্ধানে জানা যায় ঘাটে, ঘাটে উপরে নীচে সবাইকে ম্যানেজ করেই এই কারখানা দীর্ঘ ১৭ বছর চলে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়।ফ্যাক্টরির মালিক আওয়ামী লীগের নেতা বলে ১৭ বছর কেউ তার বিরুদ্ধে মূখ খোলার সাহস করেনি। ৫ আগস্টে লীগ সরকারের পতনের পরই মালিক মো: রেজাউল করিম আত্মগোপনে চলে যান।

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে কারথানার কর্মীরা বলে আমরা মাসিক বেতনে চাকুরী করি আমরা কিছুই জানিনা আপনারা মালিকের সাথে কথা বলেন।এ বিষয়ে কারখানার মালিক রেজাউল করিমের ব্যবহৃত মুঠো ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি চট্রগ্রামের বাইরে আছেন, আসলে দেখা হবে বলেন। এই বিষয় নিয়ে পটিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগোযোগ করার চেস্টা করলে তা সম্ভব হয়নি মোবাইল বন্ধ থাকার করনে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ কলেজে নবীন বরণ 

নূর সোপ নামে চট্টগ্রামে অবৈধ অনুমোদনহীন সাবান ও ওয়াশিং পাউডার তৈয়ারীর কারখানা।

আপডেট সময় ০৯:৫৫:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

বিশেষ প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের পটিয়ায় অবৈধ অনুমোদনহীন সাবান ও ওয়াশিং পাউডার তৈয়ারীর কারখানার সন্ধান মেলেছে।ওই কারখানাটি পটিয়ার প্যাচারিয়া বাজারে পটিয়া- চট্টগ্রাম মহাসড়কেই অবস্হিত ।’নূর সাবান ইন্ডাস্ট্রি’ নামে এই কারখানায় অবৈধ সাবান ও ওয়াশিং পাউডার তৈয়ারি হয়। নোংরা পরিবেশ ও বিষাক্ত ক্যামিকেল ব্যবহার করে দিন রাত উৎপাদন হয় এসব ভেজাল পণ্য।

মানবদেহের জন্য মারাক্তক ক্ষতিকর সাবান ও ওয়াশিং পাউডার নির্বিঘ্নে চললেও ফ্যাসিবাদের দোসর মালিক হওয়ায় কেউ বাধা তো দূরের কথা মুখও খুলেনি।। সরেজমিন পরিদর্শনকালে পরিবেশ, ফায়ার সার্ভিস, বিএসটিআই, ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাঁট চালান কিছু দেখাতে পারেনি । কম খরছে অধিক লাভের আশায়, অনুমোদনবিহীন সাবান ও ওয়াশিং পাউডার প্যাকেট জাত করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নিচ্ছে ফ্যাক্টরির মালিক মো: রেজাউল করিম।যদিও তিনি মুঠোফোনে নিজেকে মালিক নয় বলে দাবী করে।

সরেজমিনে কারখানা পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায় বর্জ্য পদার্থ ও মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর ক্যামিকেল ও রং দিয়ে ফ্যাক্টরির কর্মীরা এখানে সাবান ও য়াশিং পাউডার তৈরি ও প্যাকেটজাত করে চলছে।অধিকাংশ শিশুরাই এই কারখানার কর্মী ও জনবল।এই সাবান ব্যবহার করলে চর্ম রোগসহ চামড়াজনিত নানান রোগ হতে পারে বলে এক অভিজ্ঞ চর্ম চিকিৎসক জানান।

খবর নিয়ে জানা যায় নূর সাবান ফ্যাক্টরির আড়ালে কোন ট্রেড মার্ক ছাড়াই উন্নত ব্যান্ডের প্যাকেটে প্রতিদিন সরবরাহ করা হয়।জানা গেছে, নোংরা পানি,বিষাক্ত ক্যামিকেল ও হরেক রকম রং ব্যবহার করা হয় এই ফ্যাক্টরিতে।বড় বড় নামকরা কোম্পানীর মোড়ক তারা ব্যবহার করে । ফলে প্রকৃত ক্রেতারা দিন দিন ঠকলেও লাভবান হচ্ছে নূর সাবান ফ্যাক্টরির মালিকপক্ষ।

অনুসন্ধানে জানা যায় ঘাটে, ঘাটে উপরে নীচে সবাইকে ম্যানেজ করেই এই কারখানা দীর্ঘ ১৭ বছর চলে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়।ফ্যাক্টরির মালিক আওয়ামী লীগের নেতা বলে ১৭ বছর কেউ তার বিরুদ্ধে মূখ খোলার সাহস করেনি। ৫ আগস্টে লীগ সরকারের পতনের পরই মালিক মো: রেজাউল করিম আত্মগোপনে চলে যান।

সরেজমিনে পরিদর্শনকালে কারথানার কর্মীরা বলে আমরা মাসিক বেতনে চাকুরী করি আমরা কিছুই জানিনা আপনারা মালিকের সাথে কথা বলেন।এ বিষয়ে কারখানার মালিক রেজাউল করিমের ব্যবহৃত মুঠো ফোনে বক্তব্য চাইলে তিনি চট্রগ্রামের বাইরে আছেন, আসলে দেখা হবে বলেন। এই বিষয় নিয়ে পটিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগোযোগ করার চেস্টা করলে তা সম্ভব হয়নি মোবাইল বন্ধ থাকার করনে।