ঢাকা ১০:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo “মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে স্কুল পর্যায়ে খেলাধুলার ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপি:মীর হেলাল” Logo অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বোয়ালখালীতে ৪ জন আটক Logo বোয়ালখালীতে আওয়ামী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ Logo বোয়ালখালীতে বল বাড়িতে ডাকাতি, যুবক আহত Logo ব্যাটারিরিকশা বিরোধী অভিযানে উত্তপ্ত চট্টগ্রামের বাহির সিগন্যাল ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা। Logo বোয়ালখালীতে আউশ আবাদে প্রণোদনা পেলেন ৩০০ কৃষক Logo বৈলতলী গাজী মো.শরিফ (রহ.) মাদ্রাসার আহবায়ক কমিটি গঠিত Logo বোয়ালখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হনুমান উদ্ধার Logo চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী এলাকায় নগদ টাকা ও স্বর্ণ ছিনতাই Logo আজ ঢাকায় “হাদীয়ে জামান হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ) কনফারেন্স
ই-পেপার দেখুন

এসআই সুমন কুমারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৮:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩
  • ৭৯০ বার পঠিত

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার দে’র বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।

এসাাই সুমন কুমার দে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন বড় মহেশখালীর ননী গোপাল দে’র ছেলে। বর্তমানে তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
অবৈধভাবে আয় করা ১৭ লাখ টাকার খোঁজ পেয়েছে দুদক পাঁচ বছর তার বিরুদ্ধে তদন্ত মামলা করে।

এর আগে সুমন চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় এবং বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত থাকার পর ফের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি হয়ে এসেছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর ইনচার্জ ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত। তিনি বলেন, মামলাটি ঢাকায় হয়েছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত চট্টগ্রাম থেকে হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে সুমন দের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৮ সালের মার্চে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন এসআই সুমন দে। সম্পদ বিবরণীতে সুমন নিজ নামে ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৭০ টাকার স্থাবর এবং ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়াও আয়কর নথি অনুযায়ী সুমন কুমার দে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ অর্জনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৯ টাকা।

দুদক জানায়, সুমন কুমার ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ) থেকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ৩ হাজার ৮১৯ টাকা কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করেন তিনি। এছাড়াও তার নামে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৩ টাকার ঋণ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সুমন কুমারের ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ঋণসহ সর্বমোট ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৬ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকা আয়ের উৎসের কোন দালিলিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে সুমন কুমার ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

“মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে স্কুল পর্যায়ে খেলাধুলার ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপি:মীর হেলাল”

এসআই সুমন কুমারের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

আপডেট সময় ০৮:৪৯:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার দে’র বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকা জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ে মামলাটি করেন দুদক চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত-১ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহমুদা আক্তার।

এসাাই সুমন কুমার দে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন বড় মহেশখালীর ননী গোপাল দে’র ছেলে। বর্তমানে তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।
অবৈধভাবে আয় করা ১৭ লাখ টাকার খোঁজ পেয়েছে দুদক পাঁচ বছর তার বিরুদ্ধে তদন্ত মামলা করে।

এর আগে সুমন চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় এবং বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত থাকার পর ফের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি হয়ে এসেছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর ইনচার্জ ও দুদকের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত। তিনি বলেন, মামলাটি ঢাকায় হয়েছে। অনুসন্ধান ও তদন্ত চট্টগ্রাম থেকে হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালে সুমন দের সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। ২০১৮ সালের মার্চে দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন এসআই সুমন দে। সম্পদ বিবরণীতে সুমন নিজ নামে ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৭০ টাকার স্থাবর এবং ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা দেন। এছাড়াও আয়কর নথি অনুযায়ী সুমন কুমার দে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ অর্জনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৯ টাকা।

দুদক জানায়, সুমন কুমার ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ) থেকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ৩ হাজার ৮১৯ টাকা কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করেন তিনি। এছাড়াও তার নামে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৩ টাকার ঋণ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সুমন কুমারের ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ঋণসহ সর্বমোট ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৬ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকা আয়ের উৎসের কোন দালিলিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে সুমন কুমার ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন বলে প্রতীয়মান হয়।