ঢাকা ০৬:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ১০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বোয়ালখালীতে অটোরিকশায় চোলাই মদ, চালক গ্রেপ্তার Logo বোয়ালখালীতে জিপিএ-৫ ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিলো ছাত্রশিবির Logo বোয়ালখালীতে বিনয়বাঁশী শিল্পীগোষ্ঠীর বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ কর্মসূচি Logo সাওতুদ দাওয়াহ কক্সবাজার’র আত্মপ্রকাশ Logo বোয়ালখালীতে শাহ্সূফি আল্লামা আবদুল মাবুদ আলকাদেরী (র.)’র ৩৯তম বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত Logo বোয়ালখালীতে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত Logo বোয়ালখালীতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে মতবিনিময় সভা Logo ১ হাজার পিস ইয়াবাসহ বোয়ালখালীতে সেনাবাহিনীর হাতে মাদক ব্যবসায়ী আটক  Logo বোয়ালখালীতে তিনদিন ধরে নিখোঁজ এক যুবক Logo বোয়ালখালীতে জুলাই গণ অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে বিএনপির বিজয় মিছিল
ই-পেপার দেখুন

হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৩০৪ জনের পাণহানি

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৮৩ বার পঠিত

কালেরপত্র ডেস্ক :

ক্যারিবীয় রাষ্ট্র হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি।

আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শনিবার সকালে হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্জজুড়ে ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভবন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ভূমিকম্পের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, হাইতির পেটিট ট্রুও ডি নিপ্পেস থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স থেকে শহরটি দেড়শো কিলোমিটার দূরে।

এটি ১১ বছর আগে হাইতিতে আঘাত হানা ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে শক্তিশালী ও অগভীর। ২০১১ সালের ওই ভূমিকম্পে অঞ্চলটিতে লাখ লাখ না হলেও হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। ভেঙ্গে পড়েছিল অসংখ্য বাড়িঘর-ভবন। বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছিল।

এদিকে ভূমিকম্পের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ছবিতে পাশের শহর জেরেমিতে ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি ও একটি চার্চের ধ্বংসস্তুপের চিত্র দেখা যাচ্ছে। ছোটাছুটি করছেন আতঙ্কিত মানুষজন।

ভূকম্পন অনুভূত হওয়া হাইতির প্রতিবেশী দেশ কিউবার উত্তরে অবস্থিত গুয়ানতানামো শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘সকলে ভীষণ ভীত-সন্ত্রস্ত। দীর্ঘদিন এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।’ তার বাড়ি ভেঙে না পড়লেও আসবাবপত্র নড়েচড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে হাইতির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ‘বিশাল ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এছাড়া হাইতি এখনও ২০১০ সালের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

বার্তাসংস্থা এএফপি’কে ক্রিস্টেলা সেইন্ট হিলাইরি নামে হাইতির এক বাসিন্দা জানান, বহু ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

বোয়ালখালীতে অটোরিকশায় চোলাই মদ, চালক গ্রেপ্তার

হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৩০৪ জনের পাণহানি

আপডেট সময় ০৬:১৭:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

কালেরপত্র ডেস্ক :

ক্যারিবীয় রাষ্ট্র হাইতিতে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩০৪ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরো ১ হাজার ৮০০ জনের বেশি।

আজ রবিবার (১৫ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, শনিবার সকালে হাইতির পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেসময় ক্যারিবীয় দ্বীপপূঞ্জজুড়ে ভূকম্পন অনুভূত হয়। ভবন ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কায় মানুষজন তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। ভূমিকম্পের পর ক্যারিবীয় অঞ্চলে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, হাইতির পেটিট ট্রুও ডি নিপ্পেস থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার এই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। ভূপৃষ্ঠে এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্স থেকে শহরটি দেড়শো কিলোমিটার দূরে।

এটি ১১ বছর আগে হাইতিতে আঘাত হানা ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে শক্তিশালী ও অগভীর। ২০১১ সালের ওই ভূমিকম্পে অঞ্চলটিতে লাখ লাখ না হলেও হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। ভেঙ্গে পড়েছিল অসংখ্য বাড়িঘর-ভবন। বহু মানুষ গৃহহীন হয়েছিল।

এদিকে ভূমিকম্পের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়া ছবিতে পাশের শহর জেরেমিতে ভেঙে পড়া ঘরবাড়ি ও একটি চার্চের ধ্বংসস্তুপের চিত্র দেখা যাচ্ছে। ছোটাছুটি করছেন আতঙ্কিত মানুষজন।

ভূকম্পন অনুভূত হওয়া হাইতির প্রতিবেশী দেশ কিউবার উত্তরে অবস্থিত গুয়ানতানামো শহরের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘সকলে ভীষণ ভীত-সন্ত্রস্ত। দীর্ঘদিন এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।’ তার বাড়ি ভেঙে না পড়লেও আসবাবপত্র নড়েচড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

এদিকে হাইতির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে ‘বিশাল ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে এবং পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটিতে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। এছাড়া হাইতি এখনও ২০১০ সালের বিপর্যয় সৃষ্টিকারী ভূমিকম্পের ক্ষত এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলেও জানিয়েছে বিবিসি।

বার্তাসংস্থা এএফপি’কে ক্রিস্টেলা সেইন্ট হিলাইরি নামে হাইতির এক বাসিন্দা জানান, বহু ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে এবং বহু মানুষ মারা গেছেন। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকে।