ঢাকা ১২:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ই-পেপার দেখুন

বাকলিয়া এক্সেস রোড নগরের যোগাযোগ সহজ করবে

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৫:১৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩
  • ৫৫৩ বার পঠিত

চট্টগ্রাম: ‘বাকলিয়া এক্সেস রোড’ নামে পরিচিত জানে আলম দোভাষ সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। যানজট কমানোর পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে নগরের যোগাযোগ সহজ করার ক্ষেত্রে মাস্টারপ্ল্যানে রাস্তাটি নির্মাণের প্রস্তাব ছিল।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে নগরের পুরাতন বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে চন্দনপুরা পর্যন্ত নির্মিত ১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।স্থানীয়রা জানান, সড়কটি নির্মাণের ফলে যেমন মানুষের সময় বাঁচবে, তেমন কমবে ভোগান্তিও।

বাকলিয়াবাসীকে চকবাজার ও আশপাশের এলাকায় বহদ্দারহাট হয়ে যেতে হবে না। দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে আসা চকবাজারমুখী শিক্ষার্থী এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে পারবেন। চকবাজারগামী মানুষকে চাক্তাই কিংবা বহদ্দারহাট ঘুরে যাতায়াত করতে হবে না।  জানে আলম দোভাষ সড়কের প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ বলেন, বাকলিয়া এক্সেস রোড প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এই সড়কের অন্যতম সুবিধাভোগী হবেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ। তারা কোনও প্রকার ভোগান্তি ও যানজট ছাড়াই চকবাজার ও আশপাশের এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবেন।

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, চকবাজার এলাকাকেন্দ্রিক অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টার রয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে আসা এসব শিক্ষার্থীদের আগে কোতোয়ালী-আন্দরকিল্লা কিংবা বহদ্দারহাট হয়ে চকবাজার যাতায়াত করতে হতো। এখন তাদের দূরত্ব অনেক কমেছে। সেই সঙ্গে কমছে খরচও।

পুরাতন বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে চন্দনপুরা পর্যন্ত ১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটারের এই সড়কের মাধ্যমে বহদ্দারহাট-কর্ণফুলী সংযোগ সড়কের সুফল পাচ্ছে বাকলিয়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে।

নগরে বাকলিয়া এলাকার শাহ আমানত সংযোগ সড়কের পুরাতন বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে চন্দনপুরা পর্যন্ত ১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৮ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৫ কোটি টাকা। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং দশতলা ভবন নিয়ে জটিলতায় প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হয়নি। পরবর্তীতে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২০১৭ কোটি টাকা।

সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ইতিমধ্যে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সড়কটি ব্যবহারের মাধ্যমে বাকলিয়াবাসীর সময় ও অর্থ বাঁচবে। দ্রুত সময় ও অল্প খরচে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। আগামী ১৪ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ সড়কটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

স্মার্ট পৌরসভা গড়তে সকলের সহযোগিতা চায়লেন পৌরমেয়র জহুর 

বাকলিয়া এক্সেস রোড নগরের যোগাযোগ সহজ করবে

আপডেট সময় ০৫:১৮:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ নভেম্বর ২০২৩

চট্টগ্রাম: ‘বাকলিয়া এক্সেস রোড’ নামে পরিচিত জানে আলম দোভাষ সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। যানজট কমানোর পাশাপাশি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সঙ্গে নগরের যোগাযোগ সহজ করার ক্ষেত্রে মাস্টারপ্ল্যানে রাস্তাটি নির্মাণের প্রস্তাব ছিল।

মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সাথে নগরের পুরাতন বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে চন্দনপুরা পর্যন্ত নির্মিত ১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ এ সড়ক ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।স্থানীয়রা জানান, সড়কটি নির্মাণের ফলে যেমন মানুষের সময় বাঁচবে, তেমন কমবে ভোগান্তিও।

বাকলিয়াবাসীকে চকবাজার ও আশপাশের এলাকায় বহদ্দারহাট হয়ে যেতে হবে না। দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে আসা চকবাজারমুখী শিক্ষার্থী এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসা রোগীরা দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে যেতে পারবেন। চকবাজারগামী মানুষকে চাক্তাই কিংবা বহদ্দারহাট ঘুরে যাতায়াত করতে হবে না।  জানে আলম দোভাষ সড়কের প্রকল্প পরিচালক কাজী কাদের নেওয়াজ বলেন, বাকলিয়া এক্সেস রোড প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। আগামী ১৪ নভেম্বর প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার কথা রয়েছে। এই সড়কের অন্যতম সুবিধাভোগী হবেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ। তারা কোনও প্রকার ভোগান্তি ও যানজট ছাড়াই চকবাজার ও আশপাশের এলাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে পৌঁছে যাবেন।

প্রকল্প পরিচালক আরও বলেন, চকবাজার এলাকাকেন্দ্রিক অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও কোচিং সেন্টার রয়েছে। দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে আসা এসব শিক্ষার্থীদের আগে কোতোয়ালী-আন্দরকিল্লা কিংবা বহদ্দারহাট হয়ে চকবাজার যাতায়াত করতে হতো। এখন তাদের দূরত্ব অনেক কমেছে। সেই সঙ্গে কমছে খরচও।

পুরাতন বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে চন্দনপুরা পর্যন্ত ১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটারের এই সড়কের মাধ্যমে বহদ্দারহাট-কর্ণফুলী সংযোগ সড়কের সুফল পাচ্ছে বাকলিয়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যে সড়কটিতে যান চলাচল শুরু হয়েছে।

নগরে বাকলিয়া এলাকার শাহ আমানত সংযোগ সড়কের পুরাতন বাকলিয়া থানা এলাকা থেকে চন্দনপুরা পর্যন্ত ১ দশমিক ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। ২০১৮ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০৫ কোটি টাকা। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা এবং দশতলা ভবন নিয়ে জটিলতায় প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হয়নি। পরবর্তীতে ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২০১৭ কোটি টাকা।

সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ইতিমধ্যে সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। সড়কটি ব্যবহারের মাধ্যমে বাকলিয়াবাসীর সময় ও অর্থ বাঁচবে। দ্রুত সময় ও অল্প খরচে মানুষ গন্তব্যে পৌঁছে যাবে। আগামী ১৪ নভেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এ সড়কটি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।