ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিহত রহিমের বাড়ি বাঁশখালী, থাকতেন নগরে Logo চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সচিবকে বদলি, আসছেন সামছু উদ্দিন Logo বোয়ালখালীতে অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগে Logo বোয়ালখালী আহলা কড়লডেঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ Logo বোয়ালখালীতে ২০ তম দুই দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ) সম্পন্ন Logo ঘরের রান্না ঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে এক বেসরকারি কর্মচারীর আত্মহত্যা Logo হাজির হাট জামে মসজিদের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন Logo চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতাদের দলীয় পদ ফিরে পাওয়ায় দোয়া মাহফিল Logo হাওলা মামা ভাগিনার বার্ষিক ওরশ শরীফের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের এসএমই শিল্পে সহায়তার জন্য সিটি ব্যাংকে আইএফসির ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ
ই-পেপার দেখুন

সিএমপির হালিশহর থানার অভিযানঃ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে হত্যা

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০১:৪২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
  • ৮৮৪ বার পঠিত

নিজেস্ব প্রতিবেদক :: সিএমপি হালিশহর থানার অভিযানঃ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে হত্যা, রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার মূল হোতা গ্রেফতার।

গত ১০/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ নগরীর হালিশহর থানাধীন রোজ উড হোটেলের ৮০২ নং কক্ষে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে নগরীর হালিশহর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

মামলাটি তদন্তকালে রোজ উড হোটেলের রেজিষ্টার, আসামী কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ, হোটেল রুমে প্রাপ্ত আলামত পর্যালোচনা করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতা আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন (২৬)কে শনাক্ত করা হয়।

পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) জনাব মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ এর নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) জনাব পংকজ দত্ত এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শরীফ উদ্দিন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ১৪/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত্রি ০২.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা হতে আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন কে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন মামলার ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। জানায় যে, সে মা বাবার সাথে উত্তরায় নিজ বাড়ীতে বসবাস করে এবং উত্তরা ল্যাবএইড হাসপাতালে রিপোর্ট ডেলিভারী সেকশনে চাকুরি করে। ভিকটিম তার গ্রামের বাড়ীর প্রতিবেশী। ভিকটিম তার স্বামী ও ০৩ সন্তানের সাথে বন্দর থানা এলাকার কলসী দিঘীর পাড়ে বসবাস করত। ভিকটিমের স্বামী ভিকটিমকে বিভিন্ন কারণে সন্দেহ করায় ভিকটিমের সাথে তার স্বামীর দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং ভিকটিম গত ০১ বছর যাবৎ তার ০৩ সন্তান নিয়ে হালিশহর বাবার বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। একই এলাকার সুবাদে ভিকটিমের সাথে তার পরিচয় হয় এবং গত দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ভিকটিমের সাথে অন্য কোন ব্যক্তির সম্পর্ক তৈরী হয়েছে মর্মে সে ভিকটিমকে সন্দেহ করত।

ভিকটিমের সাথে তার মনোমালিন্যের কারণে তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং সে ভিকটিমকে খুন করার পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ঘটনার দিন সকালে রোজ উড হোটেলে উপস্থিত হয়। বিকালে সে ভিকটিমকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুমে নেয় এবং ভিকটিমকে ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত পানীয় পান করতে দেয়। ভিকটিম ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত পানীয় পান করার ফলে কিছুটা অচেতন হওয়ার পরপরই ছুরি দিয়ে গলা ও পেটে আঘাত করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে।

নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সূত্রে উল্লেখিত কু-লেস মামলাটির রহস্য উদঘাটন, অভিযুক্ত ও ভিকটিমের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং গ্রেফতার সম্ভব হয়। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

নিহত রহিমের বাড়ি বাঁশখালী, থাকতেন নগরে

সিএমপির হালিশহর থানার অভিযানঃ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে হত্যা

আপডেট সময় ০১:৪২:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

নিজেস্ব প্রতিবেদক :: সিএমপি হালিশহর থানার অভিযানঃ পরকীয়া প্রেমের সূত্র ধরে হত্যা, রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার মূল হোতা গ্রেফতার।

গত ১০/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ নগরীর হালিশহর থানাধীন রোজ উড হোটেলের ৮০২ নং কক্ষে একজন অজ্ঞাতনামা মহিলার লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সংক্রান্তে নগরীর হালিশহর থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়।

মামলাটি তদন্তকালে রোজ উড হোটেলের রেজিষ্টার, আসামী কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় পরিচয়পত্র, বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ, হোটেল রুমে প্রাপ্ত আলামত পর্যালোচনা করা হয়। তদন্তের একপর্যায়ে ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতা আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন (২৬)কে শনাক্ত করা হয়।

পরবর্তীতে উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) জনাব মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ এর নির্দেশনায় অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) জনাব পংকজ দত্ত এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে হালিশহর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই শরীফ উদ্দিন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ ১৪/০২/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত্রি ০২.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানা হতে আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন কে গ্রেফতার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আশরাফুল ইসলাম প্রঃ সুজন মামলার ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করে। জানায় যে, সে মা বাবার সাথে উত্তরায় নিজ বাড়ীতে বসবাস করে এবং উত্তরা ল্যাবএইড হাসপাতালে রিপোর্ট ডেলিভারী সেকশনে চাকুরি করে। ভিকটিম তার গ্রামের বাড়ীর প্রতিবেশী। ভিকটিম তার স্বামী ও ০৩ সন্তানের সাথে বন্দর থানা এলাকার কলসী দিঘীর পাড়ে বসবাস করত। ভিকটিমের স্বামী ভিকটিমকে বিভিন্ন কারণে সন্দেহ করায় ভিকটিমের সাথে তার স্বামীর দূরত্ব সৃষ্টি হয় এবং ভিকটিম গত ০১ বছর যাবৎ তার ০৩ সন্তান নিয়ে হালিশহর বাবার বাড়ীতে বসবাস করে আসছে। একই এলাকার সুবাদে ভিকটিমের সাথে তার পরিচয় হয় এবং গত দুই বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্প্রতি ভিকটিমের সাথে অন্য কোন ব্যক্তির সম্পর্ক তৈরী হয়েছে মর্মে সে ভিকটিমকে সন্দেহ করত।

ভিকটিমের সাথে তার মনোমালিন্যের কারণে তার মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং সে ভিকটিমকে খুন করার পরিকল্পনা করতে থাকে। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ঘটনার দিন সকালে রোজ উড হোটেলে উপস্থিত হয়। বিকালে সে ভিকটিমকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রুমে নেয় এবং ভিকটিমকে ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত পানীয় পান করতে দেয়। ভিকটিম ঘুমের ঔষধ মিশ্রিত পানীয় পান করার ফলে কিছুটা অচেতন হওয়ার পরপরই ছুরি দিয়ে গলা ও পেটে আঘাত করে ভিকটিমের মৃত্যু নিশ্চিত করে।

নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে সূত্রে উল্লেখিত কু-লেস মামলাটির রহস্য উদঘাটন, অভিযুক্ত ও ভিকটিমের পরিচয় শনাক্তকরণ এবং গ্রেফতার সম্ভব হয়। মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে।