ঢাকা ০৪:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নিহত রহিমের বাড়ি বাঁশখালী, থাকতেন নগরে Logo চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড সচিবকে বদলি, আসছেন সামছু উদ্দিন Logo বোয়ালখালীতে অর্ধলক্ষ টাকা জরিমানা অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার অভিযোগে Logo বোয়ালখালী আহলা কড়লডেঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে কর্মী সমাবেশ Logo বোয়ালখালীতে ২০ তম দুই দিনব্যাপী ফ্রি চিকিৎসা সেবা ও ঈদে মিলাদুন্নবী(দঃ) সম্পন্ন Logo ঘরের রান্না ঘরে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে এক বেসরকারি কর্মচারীর আত্মহত্যা Logo হাজির হাট জামে মসজিদের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন Logo চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি নেতাদের দলীয় পদ ফিরে পাওয়ায় দোয়া মাহফিল Logo হাওলা মামা ভাগিনার বার্ষিক ওরশ শরীফের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশের এসএমই শিল্পে সহায়তার জন্য সিটি ব্যাংকে আইএফসির ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ
ই-পেপার দেখুন

বোয়ালখালী শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩
  • ৭৪০ বার পঠিত

বোয়ালখালী প্রতিনিধি :- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ মার্চ বোয়ালখালীকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন। ওইদিন চতুর্থ পর্যায়ে নির্মিত জমিসহ ঘর বিতরণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালে উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করবেন।৫৩টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ব্যাপক কর্মব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সুজন কান্তি দাশ নতুন নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনসহ উপকারভোগীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরহারা মানুষের মুখে অনাবিল হাসি ফুটিয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। আশ্রয়ণে জমিসহ পাকা ঘরের মালিকদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সবধরনের সহায়তা এবং পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, চতুর্থ পর্যায়ে নির্মিত ঘর বিতরণের মাধ্যমে এই উপজেলাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহ ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। এইদিন ৫৩টি পরিবার জমিসহ ঘর পাবেন। এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য সেবা, চাষাবাদ, শিক্ষাসহ সকলধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের।সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর জীবনমান এখন বদলে গেছে ঘর পেয়ে। এক সময় যাঁদের ছিলো না কোনো নিজস্ব ঠিকানা। এ বাড়ি ও বাড়িতে ঠাঁই নিতেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারে বাসস্থানসহ সরকারি সুযোগ সুবিধার ফলে অন্ধকারে পেয়েছেন আলোর দিশা। ফিরে পেয়েছেন আর্থিক স্বচ্ছলতা। প্রতিটি ঘরসহ জায়গা মহিলা ও পুরুষের নামে রেজিষ্ট্রী করে দেওয়া হয়েছে।জৈষ্ঠ্যপুরা ফতেয়ারখীল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জয়নাব বেগম বলেন, নিজের বাড়ি হবে কোনোদিন ভাবিনি। বিয়ের পর ছেলে বাপ বিদেশে চলে যান। আমাদের খোঁজ খবর নেইনি। অনেক কস্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবন চালিয়েছি। ছেলে বড় করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে জায়গা ও বাড়ি দিয়েছেন। তাঁর জন্য দোয়া করছি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা বৃদ্ধা ফরিদা বেগম বলেন, বিয়ের পর স্বামী চলে যান। তিনি বরিশালের মানুষ ছিলেন। তখন আমি ৫ মাসে অন্তঃস্বত্ত্বা। ঘরহারা, স্বামীহারা মেয়ে মানুষকে কে ঠাঁই দেয় ? অনেক কস্ট করেছি ছেলেকে নিয়ে জীবনে। আজ ঘর পেয়েছি, জায়গা পেয়েছি। ছেলেও সংসারী। আমার নাতি-নাতনিদের নিয়েই সময় কাটে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সুজন কান্তি দাশ জানান, বোয়ালখালীতে ৪টি পর্যায়ে ১৬০টি জমিসহ ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ১ম পর্যায়ে ২০টি, ২য় পর্যায়ে ২০টি, ৩য় পর্যায়ে ৬০টি ঘর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ৪র্থ পর্যায়ে ৫৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে ৭টি উপকারভোগীদের ঘর দেওয়া হয়েছে। ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ, পানি ও সেনিটারি সুবিধা রয়েছে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

নিহত রহিমের বাড়ি বাঁশখালী, থাকতেন নগরে

বোয়ালখালী শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০৭:৩৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মার্চ ২০২৩

বোয়ালখালী প্রতিনিধি :- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ মার্চ বোয়ালখালীকে শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন। ওইদিন চতুর্থ পর্যায়ে নির্মিত জমিসহ ঘর বিতরণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালে উপকারভোগীদের সাথে মতবিনিময় করবেন।৫৩টি পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তরের অনুষ্ঠানকে ঘিরে ব্যাপক কর্মব্যস্ততার মধ্যে রয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইতিমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সুজন কান্তি দাশ নতুন নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনসহ উপকারভোগীদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মামুন বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘরহারা মানুষের মুখে অনাবিল হাসি ফুটিয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিয়েছেন। আশ্রয়ণে জমিসহ পাকা ঘরের মালিকদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ সবধরনের সহায়তা এবং পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।তিনি বলেন, চতুর্থ পর্যায়ে নির্মিত ঘর বিতরণের মাধ্যমে এই উপজেলাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গৃহ ও ভূমিহীন মুক্ত ঘোষণা করবেন। এইদিন ৫৩টি পরিবার জমিসহ ঘর পাবেন। এমন ঘোষণা বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্য সেবা, চাষাবাদ, শিক্ষাসহ সকলধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের।সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারগুলোর জীবনমান এখন বদলে গেছে ঘর পেয়ে। এক সময় যাঁদের ছিলো না কোনো নিজস্ব ঠিকানা। এ বাড়ি ও বাড়িতে ঠাঁই নিতেন তারা। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহারে বাসস্থানসহ সরকারি সুযোগ সুবিধার ফলে অন্ধকারে পেয়েছেন আলোর দিশা। ফিরে পেয়েছেন আর্থিক স্বচ্ছলতা। প্রতিটি ঘরসহ জায়গা মহিলা ও পুরুষের নামে রেজিষ্ট্রী করে দেওয়া হয়েছে।জৈষ্ঠ্যপুরা ফতেয়ারখীল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা জয়নাব বেগম বলেন, নিজের বাড়ি হবে কোনোদিন ভাবিনি। বিয়ের পর ছেলে বাপ বিদেশে চলে যান। আমাদের খোঁজ খবর নেইনি। অনেক কস্ট করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবন চালিয়েছি। ছেলে বড় করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে জায়গা ও বাড়ি দিয়েছেন। তাঁর জন্য দোয়া করছি। আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেক বাসিন্দা বৃদ্ধা ফরিদা বেগম বলেন, বিয়ের পর স্বামী চলে যান। তিনি বরিশালের মানুষ ছিলেন। তখন আমি ৫ মাসে অন্তঃস্বত্ত্বা। ঘরহারা, স্বামীহারা মেয়ে মানুষকে কে ঠাঁই দেয় ? অনেক কস্ট করেছি ছেলেকে নিয়ে জীবনে। আজ ঘর পেয়েছি, জায়গা পেয়েছি। ছেলেও সংসারী। আমার নাতি-নাতনিদের নিয়েই সময় কাটে।উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সুজন কান্তি দাশ জানান, বোয়ালখালীতে ৪টি পর্যায়ে ১৬০টি জমিসহ ঘর গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে প্রদান করা হয়েছে। উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে ১ম পর্যায়ে ২০টি, ২য় পর্যায়ে ২০টি, ৩য় পর্যায়ে ৬০টি ঘর দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি ৪র্থ পর্যায়ে ৫৩টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে ৭টি উপকারভোগীদের ঘর দেওয়া হয়েছে। ঘরগুলোতে বিদ্যুৎ, পানি ও সেনিটারি সুবিধা রয়েছে।