ঢাকা ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ১৩ চৈত্র ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তুতির আহবান মসিক মেয়রের Logo চট্টগ্রাম আদালতে পুলিশকে জেরা করার সময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন আইনজীবী Logo বোয়ালখালীতে মৃত্যু বীমা দাবির চেক হস্তান্তর করেন মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি Logo ঢাকার পাসপোর্ট অফিসগুলোর আওতা সংশোধন Logo বোয়ালখালী শতভাগ ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী Logo উন্নয়ন কাজের বরাদ্ধ ও বাস্তবায়নের হার ছবিসহ জমা দিতে হবেঃ জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা Logo বাগমনিরাম ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি আজিম, সম্পাদক বাবু Logo ২০১৪ সালের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এখন সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেছে বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী Logo ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা মাহিয়া মাহি। Logo আমেরিকার বড় বিপদ হতে পারে সারগাসাম
ই-পেপার দেখুন

পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৬:০৮:৫৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ আগস্ট ২০২১
  • ৭৭৯ বার পঠিত

কালেরপত্র ডেস্ক :

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলে দিতে পারব সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রবিবার (১৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করেছি। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এখন করোনার যে সংক্রমণের হার, মৃত্যুর হার, সবকিছু মিলিয়ে যে অবস্থা, সেসব বিবেচনায় কবে নাগাদ আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার এখন নিম্নগামী। কাজেই আমরা আশা করি- সবাই যদি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে মৃত্যুহার আরও নেমে যাবে। বিশেষজ্ঞরা যেমন বলেন যে, শতকরা পাঁচ ভাগ বা তার কম হলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায়। সেটা যেমন আমরা মাথায় রাখছি, তেমনি একইসঙ্গে টিকার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছেন তাদের সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। যদি আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আর বাধা থাকবে না।। শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশকেও টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই বাকি শিক্ষার্থীদেরও যদি আমরা টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের হার পাঁচে না নামলেও আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব।’

মন্ত্রী বলেন, এখানে দুইটা বিষয়- এক সংক্রমণের হার কমে যাওয়া আর সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। এ দুইটা যখন হবে তখন আমরা যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো সময় সকল পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এটি পুরোপুরি নির্ভর করে করোনা মহামারির অবস্থার ওপর- এটি কখন কী হয়! আমাদের গত বছরের অভিজ্ঞতা বলে- নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। এ বছরও যদি সেটা হয় তাহলে সে সময়ে আমরা ভেবেছি- এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষা নিতে পারব ইনশাল্লাহ। সেই অনুযায়ী আমরা পরীক্ষার সময়সূচি ঠিক করেছি। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া সম্ভব হবে।’ তবে সবকিছুই করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

8 + 10 =

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রস্তুতির আহবান মসিক মেয়রের

পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা

আপডেট সময় ০৬:০৮:৫৩ অপরাহ্ণ, রবিবার, ১৫ আগস্ট ২০২১

কালেরপত্র ডেস্ক :

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কবে খুলে দিতে পারব সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

রবিবার (১৫ আগস্ট) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা করেছি। পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে হয়েছে। এখন করোনার যে সংক্রমণের হার, মৃত্যুর হার, সবকিছু মিলিয়ে যে অবস্থা, সেসব বিবেচনায় কবে নাগাদ আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারব সেটা বলার কোনো সুযোগ নেই।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার এখন নিম্নগামী। কাজেই আমরা আশা করি- সবাই যদি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে মৃত্যুহার আরও নেমে যাবে। বিশেষজ্ঞরা যেমন বলেন যে, শতকরা পাঁচ ভাগ বা তার কম হলে তখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যায়। সেটা যেমন আমরা মাথায় রাখছি, তেমনি একইসঙ্গে টিকার কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু হয়েছে।

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীও ঘোষণা দিয়েছেন আমাদের শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা আছেন তাদের সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। যদি আমরা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে আর বাধা থাকবে না।। শিক্ষক-কর্মচারীদের টিকা দেয়ার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের অধিকাংশকেও টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই বাকি শিক্ষার্থীদেরও যদি আমরা টিকার আওতায় নিয়ে আসতে পারি, সেক্ষেত্রে সংক্রমণের হার পাঁচে না নামলেও আমরা একটা সিদ্ধান্ত নেব।’

মন্ত্রী বলেন, এখানে দুইটা বিষয়- এক সংক্রমণের হার কমে যাওয়া আর সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা। এ দুইটা যখন হবে তখন আমরা যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব।

তিনি বলেন, ‘যেকোনো সময় সকল পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। এটি পুরোপুরি নির্ভর করে করোনা মহামারির অবস্থার ওপর- এটি কখন কী হয়! আমাদের গত বছরের অভিজ্ঞতা বলে- নভেম্বর-ডিসেম্বরে সংক্রমণ অনেক কমে গিয়েছিল। এ বছরও যদি সেটা হয় তাহলে সে সময়ে আমরা ভেবেছি- এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষা নিতে পারব ইনশাল্লাহ। সেই অনুযায়ী আমরা পরীক্ষার সময়সূচি ঠিক করেছি। আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া সম্ভব হবে।’ তবে সবকিছুই করোনা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।