ঢাকা রবিবার, ১১ই জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৮শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
ই-পেপার দেখুন

তথ্য প্রযুক্তির কারণে মানুষ ঘরে বসেই কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে,জেলা প্রশাসক

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে তাঁরই সুুুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী এদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি ক্ষমতায় এসে সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারকে ঢেলে সাজিয়েছেন। তথ্য প্রযুক্তির কারণে মানুষ ঘরে বসেই তাদের যাবতীয় কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ডিজিটাল হয়েছে। এখন আমাদের স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এজন্য সরকারের সকল দপ্তরকে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আজ ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ইংরেজি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে আয়োজিত ২দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। মেলায় ক্যাটাগরি ভিত্তিক নির্বাচিত স্টলগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ ই-সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস।

ডিসি বলেন, জনগণের হয়রানি রোধ ও সরকারি সেবা কিভাবে সহজীকরণ করা হয়েছে তা জনগণকে জানান দেয়ার জন্য সরকারের কর্মচারীরা সারাদেশে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন। তাই জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করতে হলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁরই সুযোগ্য পুত্র প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় তথ্য প্রযুক্তিতে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ প্রজন্মের সন্তানেরা ডিজিটালাইশেনের এ যুগে মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
ডিসি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে আমরা ঘরে বসে পাসপোর্ট সেবা, ভূমির নামজারী, বিদেশ গমনের তথ্যসহ সকল ধরণের সরকারি সেবা দ্রæত ভোগ করছে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করা সাংবিধানিক অধিকার। মানুষ যাতে কম খরচে, কম সময়ে ও ভোগান্তি ছাড়াই সহজে সরকারি সেবা ভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এতে করে জনগণ তাদের কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোঃ বদিউল আলমের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবু রায়হান দোলন। শেষে মেলায় ক্যাটাগরি ভিত্তিক নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান/স্টলগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, এ মেলায় সরকারের ২২ টি দপ্তর/প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। মেলার স্টল থেকে সরাসরি নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ মেলা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্টের আবেদন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন, অনলাইনে জিডি করা, ই-মিউটেশন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, কোভিডের টিকা কার্ড সংশোধন, সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান, ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন ও নবায়ন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সকল সেবাসমূহ সরাসরি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। মেলায় বিআরটিএ’র স্টল থেকে ৫ হাজার ব্যাক্তিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

1 + 5 =

শনিবার থেকে চট্টগ্রাম  ‍নগরে চলবে ‘পর্যটক বাস’

তথ্য প্রযুক্তির কারণে মানুষ ঘরে বসেই কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে,জেলা প্রশাসক

আপডেট সময় ০৪:০১:৪১ অপরাহ্ণ, মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে তাঁরই সুুুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিগত ২০০৮ সালে নির্বাচনী ইশতেহারে প্রধানমন্ত্রী এদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ঘোষনা দিয়েছিলেন। ২০০৯ সালে তিনি ক্ষমতায় এসে সেবা জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারকে ঢেলে সাজিয়েছেন। তথ্য প্রযুক্তির কারণে মানুষ ঘরে বসেই তাদের যাবতীয় কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ডিজিটাল হয়েছে। এখন আমাদের স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। এজন্য সরকারের সকল দপ্তরকে সেবার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। আজ ২০ ডিসেম্বর ২০২২ ইংরেজি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়ামে আয়োজিত ২দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। মেলায় ক্যাটাগরি ভিত্তিক নির্বাচিত স্টলগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ ই-সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস।

ডিসি বলেন, জনগণের হয়রানি রোধ ও সরকারি সেবা কিভাবে সহজীকরণ করা হয়েছে তা জনগণকে জানান দেয়ার জন্য সরকারের কর্মচারীরা সারাদেশে ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার আয়োজন। তাই জনগণের কাক্সিক্ষত সেবা নিশ্চিত করতে হলে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে তাঁরই সুযোগ্য পুত্র প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়ের নিরলস প্রচেষ্টায় তথ্য প্রযুক্তিতে দেশ অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এ প্রজন্মের সন্তানেরা ডিজিটালাইশেনের এ যুগে মেধা ও দক্ষতাকে কাজে লাগাতে পারলেই ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে।
ডিসি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তির কারণে আমরা ঘরে বসে পাসপোর্ট সেবা, ভূমির নামজারী, বিদেশ গমনের তথ্যসহ সকল ধরণের সরকারি সেবা দ্রæত ভোগ করছে। জনগণের সেবা নিশ্চিত করা সাংবিধানিক অধিকার। মানুষ যাতে কম খরচে, কম সময়ে ও ভোগান্তি ছাড়াই সহজে সরকারি সেবা ভোগ করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। এতে করে জনগণ তাদের কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মোঃ বদিউল আলমের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ আবু রায়হান দোলন। শেষে মেলায় ক্যাটাগরি ভিত্তিক নির্বাচিত প্রতিষ্ঠান/স্টলগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, এ মেলায় সরকারের ২২ টি দপ্তর/প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেন। মেলার স্টল থেকে সরাসরি নাগরিকদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ মেলা থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্টের আবেদন, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীতে অন্তর্ভুক্তির আবেদন, অনলাইনে জিডি করা, ই-মিউটেশন, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, কোভিডের টিকা কার্ড সংশোধন, সিটি কর্পোরেশনের হোল্ডিং ট্যাক্স প্রদান, ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন ও নবায়ন, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সকল সেবাসমূহ সরাসরি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়। মেলায় বিআরটিএ’র স্টল থেকে ৫ হাজার ব্যাক্তিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে।