ঢাকা ০৭:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ই-পেপার দেখুন

ফজরের নামাজের যেসব ফজিলত

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ১১:০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১
  • ৯৯৩ বার পঠিত

কালেরপত্র ডেষ্ক :

ফজরের নামাজ (আরবি: صلاة الفجر‎‎ সালাতুল ফজর,) মুসলিমদের অবশ্য পালনীয় দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অন্যতম। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। ফজরের সালাতের কথা সূরা নূরের ২৪ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফজর নামাজের নিয়ম:

ফজরের নামাজ দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ নামাজ নিয়ে গঠিত। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময়। ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের পর ফরজ নামাজ পরতে হয়।

ফজিলত:

দিনের পুরোটা সর্বশক্তিমান আল্লাহর জিম্মায় থাকতে চান? তাহলে ফজরের নাম পড়ুন। কেননা ফজরের নামাজ পড়লেই শুধু এ ঈর্ষণীয় সৌভাগ্য লাভ করা যাবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।’ (মুসলিম)।

ফজরের নামাজ কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দেবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদের কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ ‘নূর’ প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও।” (আবু দাউদ)।

দুই শীতল নামাজ তথা ফজর ও আসর আদায়কারীর জন্য জান্নাত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বোখারি)।

রিজিকে বরকত আসবে। আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকালবেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বণ্টন করা হয়।

ফজরের নামাজ পড়লে দুনিয়া ও আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে। ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরমিজি)।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

ফজরের নামাজের যেসব ফজিলত

আপডেট সময় ১১:০৬:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২১

কালেরপত্র ডেষ্ক :

ফজরের নামাজ (আরবি: صلاة الفجر‎‎ সালাতুল ফজর,) মুসলিমদের অবশ্য পালনীয় দৈনন্দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের অন্যতম। নামাজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম। ফজরের সালাতের কথা সূরা নূরের ২৪ নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে।

ফজর নামাজের নিয়ম:

ফজরের নামাজ দুই রাকাত সুন্নত ও দুই রাকাত ফরজ নামাজ নিয়ে গঠিত। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময়। ফজরের দুই রাকাত সুন্নত নামাজের পর ফরজ নামাজ পরতে হয়।

ফজিলত:

দিনের পুরোটা সর্বশক্তিমান আল্লাহর জিম্মায় থাকতে চান? তাহলে ফজরের নাম পড়ুন। কেননা ফজরের নামাজ পড়লেই শুধু এ ঈর্ষণীয় সৌভাগ্য লাভ করা যাবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।’ (মুসলিম)।

ফজরের নামাজ কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দেবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদের কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ ‘নূর’ প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও।” (আবু দাউদ)।

দুই শীতল নামাজ তথা ফজর ও আসর আদায়কারীর জন্য জান্নাত। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (বোখারি)।

রিজিকে বরকত আসবে। আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন, সকালবেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বণ্টন করা হয়।

ফজরের নামাজ পড়লে দুনিয়া ও আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে। ‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরমিজি)।