ঢাকা ০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo “মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে স্কুল পর্যায়ে খেলাধুলার ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপি:মীর হেলাল” Logo অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বোয়ালখালীতে ৪ জন আটক Logo বোয়ালখালীতে আওয়ামী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ Logo বোয়ালখালীতে বল বাড়িতে ডাকাতি, যুবক আহত Logo ব্যাটারিরিকশা বিরোধী অভিযানে উত্তপ্ত চট্টগ্রামের বাহির সিগন্যাল ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা। Logo বোয়ালখালীতে আউশ আবাদে প্রণোদনা পেলেন ৩০০ কৃষক Logo বৈলতলী গাজী মো.শরিফ (রহ.) মাদ্রাসার আহবায়ক কমিটি গঠিত Logo বোয়ালখালীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হনুমান উদ্ধার Logo চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী এলাকায় নগদ টাকা ও স্বর্ণ ছিনতাই Logo আজ ঢাকায় “হাদীয়ে জামান হযরত সেহাবউদ্দীন খালেদ (রহঃ) কনফারেন্স
ই-পেপার দেখুন

যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপিত

রাত গভীর হলেও ভাষা শহীদদের ঋণের প্রতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে বাঙালি চিরায়ত ঠিকানা শহীদ মিনার। একুশের প্রথম প্রহরে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের ঢল স্মৃতির মিনারে।

শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী মহানগরের পক্ষ থেকে নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পরে সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান, এনডিসি , রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ তাদের দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র বলেন, ভাষা শহীদদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ উন্মেষ ঘটেছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, যে মায়ের ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি সে মায়ের ভাষাকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। এখনো বাংলায় সাইনবোর্ড লিখতে আমরা জরিমানা করতে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেনো আমরা জরিমানা করতে হবে। যে ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি সে ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেতনা যদি আমাদের মধ্যে কাজ না করে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এটা বাস্তবায়ন করা দুষ্কর। আমি মনে করি আজকের এই দিনে আমাদের সকলের শপথ নেওয়া উচিত প্রত্যেকের নিজেদের কর্তব্যবোধের জায়গা থেকে সকলকে সচেতন করা উচিত।

শোকার্ত মানুষের হাতে হাতে ফুল, বুকে কালো ব্যাচ। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল মাইক থেকে আমার ভাইয়ে রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি গানটির সুর বাজছিলো। ১৯৫২ সালের ঘটনায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউরসহ নাম না জানা মানুষের জীবন উৎসর্গের শোককে শক্তিতে পরিনত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা খুঁজছে জাতি।

এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার সহযোগী সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন। কালো ব্যানার নিয়ে আসছেন একের পর এক।

দেশ বিভাগের পর বাংলা ভাষা-ভাষীদের মধ্যে যে ভাষা চেতনা বেড়ে উঠতে থাকে, তারই পূর্ণ প্রকাশ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। পাকিস্তানি শাসকদের উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে নামে পূর্ব বাংলার মানুষ। ১৪৪ ধারা ভেঙে ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এতে রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, সফিউরসহ কয়েকজন তরুণ শহীদ হন।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

“মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে স্কুল পর্যায়ে খেলাধুলার ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপি:মীর হেলাল”

যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উদযাপিত

আপডেট সময় ০৪:৪৯:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

রাত গভীর হলেও ভাষা শহীদদের ঋণের প্রতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে বাঙালি চিরায়ত ঠিকানা শহীদ মিনার। একুশের প্রথম প্রহরে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের ঢল স্মৃতির মিনারে।

শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে প্রথম প্রহরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী মহানগরের পক্ষ থেকে নগরীর মিউনিসিপ্যাল মডেল হাই স্কুলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। পরে সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান, এনডিসি , রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন, পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, পুলিশ সুপার এস. এম শফিউল্লাহ, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ তাদের দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে।

এসময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র বলেন, ভাষা শহীদদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ উন্মেষ ঘটেছিল। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, যে মায়ের ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি সে মায়ের ভাষাকে সর্বক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে পারিনি। এখনো বাংলায় সাইনবোর্ড লিখতে আমরা জরিমানা করতে হয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেনো আমরা জরিমানা করতে হবে। যে ভাষার জন্য আমরা রক্ত দিয়েছি সে ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার চেতনা যদি আমাদের মধ্যে কাজ না করে শুধুমাত্র আইন প্রয়োগের মাধ্যমে এটা বাস্তবায়ন করা দুষ্কর। আমি মনে করি আজকের এই দিনে আমাদের সকলের শপথ নেওয়া উচিত প্রত্যেকের নিজেদের কর্তব্যবোধের জায়গা থেকে সকলকে সচেতন করা উচিত।

শোকার্ত মানুষের হাতে হাতে ফুল, বুকে কালো ব্যাচ। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল মাইক থেকে আমার ভাইয়ে রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রæয়ারি গানটির সুর বাজছিলো। ১৯৫২ সালের ঘটনায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, সফিউরসহ নাম না জানা মানুষের জীবন উৎসর্গের শোককে শক্তিতে পরিনত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা খুঁজছে জাতি।

এ ছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তার সহযোগী সংগঠন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, ছাত্র, যুব, শ্রমিক, কৃষক সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ একে একে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করেন। কালো ব্যানার নিয়ে আসছেন একের পর এক।

দেশ বিভাগের পর বাংলা ভাষা-ভাষীদের মধ্যে যে ভাষা চেতনা বেড়ে উঠতে থাকে, তারই পূর্ণ প্রকাশ ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন। পাকিস্তানি শাসকদের উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে নামে পূর্ব বাংলার মানুষ। ১৪৪ ধারা ভেঙে ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশ নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। এতে রফিক, জব্বার, সালাম, বরকত, সফিউরসহ কয়েকজন তরুণ শহীদ হন।