‘প্রবাসী কর্মীরা উন্নয়নের অংশীদার, সমুন্নত রাখার তাদের অঙ্গীকার’ এই প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ক ইউনিয়ন পর্যায়ের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৮ আগস্ট) সকাল ১১টায় উপজেলার কধুরখীল জলিল আম্বিয়া কলেজ মিলনায়তনে এ কর্মশালার আয়োজন করে অভিবাসন বিষয়ক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রত্যাশী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জলিল আম্বিয়া কলেজের প্রভাষক রিদওয়ানুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন কধুরখীল ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জনি দে। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সিমস প্রকল্পের প্রজেক্ট অফিসার মিজানুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রজেক্ট অফিসার (সেফ মাইগ্রেশন) মীর নাজমুল হাসান।
ওরিয়েন্টেশনে বক্তারা স্থানীয় পর্যায়ে অভিবাসন প্রেক্ষাপট, নিরাপদ অভিবাসনের চ্যালেঞ্জ, অভিবাসন আইন ও করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা ইউনিয়ন পরিষদ, জিএমসি কমিটি, মাইগ্রেশন ফোরাম, সাব এজেন্ট ও পিয়ার ইনফরমেন্টদের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এছাড়া প্রি-ডিসিশন মেকিং ওরিয়েন্টেশন (পিডিএমও) এর প্রয়োজনীয়তা, ইউনিয়ন বরাদ্দের সঠিক ব্যবহার, মাইগ্রেশন কর্নারের নিয়মিত কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত মতবিনিময় হয়।
প্রধান অতিথি রিদওয়ানুল ইসলাম বলেন, “অভিবাসীরা শুধু পরিবারের অর্থনৈতিক ভিত্তিই নয়, দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। তাই নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে হলে সঠিক তথ্যপ্রাপ্তি, প্রশিক্ষণ এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।”
সভাপতি জনি দে বলেন, “প্রবাসী কর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সবার সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলোর কার্যকর ভূমিকা অভিবাসন ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালী করবে।”
বক্তারা বলেন, প্রবাসী কর্মীরা দেশের উন্নয়নের অন্যতম চালিকাশক্তি। নিরাপদ অভিবাসনের মাধ্যমে তাদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও কার্যকর সমন্ব অপরিহার্য।
প্রত্যাশীর উদ্যোগে এবং সুইজারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন
সিমস প্রকল্প বাস্তবায়নে কারিগরি সহায়তা করছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা হেলভেটাস বাংলাদেশ।