চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত প্রায় ২০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক হাজী আনোয়ার আলী জামে মসজিদ সংরক্ষণ ও সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন এলাকাবাসী ও সচেতন নাগরিক সমাজ।
রবিবার (১৫ জুন) দুপুর ২টায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে মসজিদ প্রাঙ্গণে ‘পটিয়া ইতিহাস সংরক্ষণ পরিষদ’-এর আয়োজনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্থানীয় বাসিন্দা ছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ইতিহাসভিত্তিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “এই মসজিদ শুধু ধর্মীয় উপাসনালয় নয়, বরং দক্ষিণ চট্টগ্রামের মুসলিম সমাজের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও স্থাপত্য ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন। ১৮ শতকের শুরুতে দানবীর হাজী আনোয়ার আলী নির্মিত মসজিদটি বর্তমানে মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কারণে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।”
বক্তারা আরও বলেন, “চট্টগ্রামের হুলাইন এলাকার ‘মুসা খা মসজিদ’ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার মতো আরেকটি দুঃখজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে জন্য সরকার ও প্রশাসনের এখনই পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।”
মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধি দল পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। এতে চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— ১. মসজিদটিকে সরকারিভাবে প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান,
২. স্থাপনার সংরক্ষণ ও সংস্কার,
৩. তথ্যফলক স্থাপন,
৪. মহাসড়ক সম্প্রসারণে মসজিদটিকে অক্ষত রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ।
পটিয়া ইতিহাস ঐতিহ্য রক্ষা পরিষদের সভাপতি, সাংবাদিক ও গবেষক আলহাজ্ব মো. আবু ছালেহ্ বলেন, “মসজিদটি শুধু পটিয়ার গর্ব নয়, এটি জাতীয় ঐতিহ্য। এ নিদর্শন রক্ষায় রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি ও ইতিহাসবিদ সোহেল মো. ফখরুদ-দীন, দৈনিক প্রথম আলোর পটিয়া প্রতিনিধি আবদুর রাজ্জাক, প্রাবন্ধিক নেচার আহমদ খান, মুসলমান ইতিহাস সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মানিক, ফারুক আহমেদ রাজু, আইরিন সুলতানা, মো. ফরহাদ, মো. মিসকাত, তাজুল ইসলাম, হারুনুর রশীদ, রবিউল হুসাইন, ইমতিয়াজ, রিয়াদ, সাইফুল্লাহ চৌধুরী, মোরশেদ আলী, মনছুর আলম, ইকবাল হোসেন, আহমদ মিশকাত প্রমুখ।