চবি প্রতিনিধি(চট্টগ্রাম)– চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সমুদ্রবিদ্যা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাইদুল ইসলাম সরকারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৬২তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত শুক্রবার (১ আগস্ট) অনুষ্ঠিত এই সভায় তাঁকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তে নতুন একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বরে গঠিত দ্বিতীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর সাইদুল ইসলাম সরকারের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সিন্ডিকেটের কিছু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সদস্য জানায়, সাইদুল ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া, যৌন হয়রানি, বিভাগীয় আসবাবপত্র জোরপূর্বক দখল, অফিসরুমকে দলীয়করণ, সহকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিদেশি স্কলারশিপের আবেদন করা।
অভিযুক্ত শিক্ষক সাইদুল ইসলাম সরকার এই বিষয়ে বলেন, “আমি এখনো কোন তথ্য জানি না। তবে তদন্ত হয়েছে, আমাকে ডেকেছিল। আমি আমার কথা বলেছি। এর পরে এখনো কোন কাগজপত্র পাইনি।”
সিন্ডিকেট সদস্য এবং সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী জানান, সাইদুল সরকারের বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত ছিল, তবে সভায় কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানতে পারেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, “সাইদুল ইসলাম সরকারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তবে তাঁর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য গঠিত ২য় তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”
উল্লেখ্য, সাইদুল ইসলাম সরকার আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য। সম্প্রতি জুলাই মাসে অভ্যূত্থানের ঘোরবিরোধিতার কারণে বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। এর আগে শিক্ষার্থীদের কুপ্রস্তাব দেওয়া, যৌন হয়রানি, জোরপূর্বক আসবাবপত্র দখল, অফিসরুম দলীয়করণ, এবং উপ-উপাচার্যকে নিয়ে কটূক্তি করার মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডে তার নাম উঠে এসেছে, যা একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হয়।