ঢাকা ১২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠোন্নয়ন সভা ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা Logo বোয়ালখালী জৈষ্ঠ্যপুরা রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয়ে অভিভাবক মতবিনিময় Logo বোয়ালখালীতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার Logo বোয়ালখালী প্যাথলজিতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ Logo নির্বাচন বিলম্বিত হলে ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেবে- ইয়াছিন চৌধুরী লিটন Logo চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে প্রবাসীর মৃত্যু Logo আমার প্রাণপ্রিয় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: গোমদণ্ডী ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রসা- গোলাম মোস্তফা Logo সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে বোয়ালখালীতে বিক্ষোভ মিছিল Logo শহীদদের মাগফিরাত কামনায় সিরাজুল ইসলাম কলেজ ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল Logo বোয়ালখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ
ই-পেপার দেখুন

চকরিয়ায় আরো একটি ব্যতিক্রমী রায় দিলেন আদালত

  • বার্তা কক্ষ ::
  • আপডেট সময় ০৬:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২
  • ৯৮০ বার পঠিত

চকরিয়া প্রতিনিধি::কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত একটি মাদক মামলায় যুগান্তাকারী রায় দিয়েছেন। রায়ে অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে একজনকে এক বছর কারাদণ্ড এবং বাকি চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ ছাড়াও নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার এই টাকা অনাদায়ে আরো ১৫ দিন করে কারাবাস করারও দণ্ডাদেশ দিয়েছেন তিনি।

তবে পাঁচ আসামির মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়া দুই আসামি (স্বামী-স্ত্রীকে) কৃতকর্মের দায় থেকে সংশোধনের সুযোগও দিয়েছেন আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব।

গত সোমবার দেওয়া এই রায়ে দুই আসামি চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা নাথপাড়ার বাসিন্দা হিরু চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীকে আদালত ছয়টি শর্ত দেন। রায়ে শর্তগুলো প্রতিপালন করার জন্য কঠোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
অপর তিন আসামি হলেন এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত বাদল দাশের ছেলে কুশা দাশ, ছয় মাস করে সাজাপ্রাপ্ত সৈয়দ রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হানিফ এবং সুকুমার নাথের ছেলে সুমন চন্দ্র নাথ। তার মধ্যে সুমন পলাতক রয়েছে। অপর দুইজনকে আদালত জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

শর্তগুলো হলো-
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে আগামী এক বছর পর্যন্ত সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার হাসপাতালের ‘প্রাত্যহিক সেবামূলক কর্ম’ করবেন এবং

প্রতি শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৌর শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়ার হরিমন্দিরে পুরোহিত বা সেবায়েত অথবা মন্দির কমিটির সভাপতি/সম্পাদক কর্তৃক নির্ধারিত মন্দির পরিচর্যা, ভক্তদের প্রসাদ বিতরণসহ অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদন করবেন।

অপর শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, কোন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত হবেন না বা একই ধরনের অপরাধ আর করবেন না। শান্তি বজায় রাখবেন এবং ভালো ব্যবহার করবেন। তারা কোর্ট এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথাসময়ে উপস্থিত হবেন। কোনোরূপ মাদক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করবেন না।

আদেশে বলা হয়, প্রবেশনার আসামিরা প্রবেশনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে বা তাদের আচরণ সন্তোষজনক না হলে তাদের প্রবেশন বাতিল করা হবে এবং অপরাধের জন্য শাস্তি ভোগ করবেন। এই সময়ের মধ্যে আসামিরা উপযুক্ত জিম্মাদারের মাধ্যমে জামিনে থাকবেন এবং জামিননামা দাখিল করবেন, প্রবেশনের সব শর্ত পালন করবেন মর্মে বন্ড দাখিল করবেন। প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এই আদেশের সব শর্ত প্রতিপালন হচ্ছে কি না তা নিয়মিত তত্ত্বাবধান ও তদারকি করে তিন মাস পরপর আদালতকে অবহিত করবেন।

মঙ্গলবার মাদক মামলায় এই রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের প্রধান কৌঁসুলি উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের আইনজীবী মিফতাহ্ উদ্দিন আহমদ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সংশোধনের সুযোগ দিয়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া আসামি স্বামী-স্ত্রীকে প্রবেশন সাজা দিয়েছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) প্রবেশনের সুযোগপ্রাপ্ত দুই আসামিকে প্রবেশন কর্মকর্তার (সমাজসেবা কর্মকর্তা) নিকট উপস্থাপন করা হবে।

রাজীব কুমার দেব ইতোমধ্যে আরো বেশ কয়েকটি মামলায় আলোচিত এবং যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

কধুরখীল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের পাঠোন্নয়ন সভা ও কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

চকরিয়ায় আরো একটি ব্যতিক্রমী রায় দিলেন আদালত

আপডেট সময় ০৬:৫৯:২৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২২

চকরিয়া প্রতিনিধি::কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালত একটি মাদক মামলায় যুগান্তাকারী রায় দিয়েছেন। রায়ে অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে একজনকে এক বছর কারাদণ্ড এবং বাকি চারজনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশ ছাড়াও নগদ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। জরিমানার এই টাকা অনাদায়ে আরো ১৫ দিন করে কারাবাস করারও দণ্ডাদেশ দিয়েছেন তিনি।

তবে পাঁচ আসামির মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়া দুই আসামি (স্বামী-স্ত্রীকে) কৃতকর্মের দায় থেকে সংশোধনের সুযোগও দিয়েছেন আদালতের বিচারক রাজীব কুমার দেব।

গত সোমবার দেওয়া এই রায়ে দুই আসামি চকরিয়া পৌরসভার চিরিঙ্গা নাথপাড়ার বাসিন্দা হিরু চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রীনা চৌধুরীকে আদালত ছয়টি শর্ত দেন। রায়ে শর্তগুলো প্রতিপালন করার জন্য কঠোর নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
অপর তিন আসামি হলেন এক বছরের সাজাপ্রাপ্ত বাদল দাশের ছেলে কুশা দাশ, ছয় মাস করে সাজাপ্রাপ্ত সৈয়দ রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হানিফ এবং সুকুমার নাথের ছেলে সুমন চন্দ্র নাথ। তার মধ্যে সুমন পলাতক রয়েছে। অপর দুইজনকে আদালত জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

শর্তগুলো হলো-
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসারের তত্ত্বাবধানে আগামী এক বছর পর্যন্ত সপ্তাহের শনি, সোম ও বুধবার হাসপাতালের ‘প্রাত্যহিক সেবামূলক কর্ম’ করবেন এবং

প্রতি শুক্রবার সকাল সাতটা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পৌর শহরের দুই নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়ার হরিমন্দিরে পুরোহিত বা সেবায়েত অথবা মন্দির কমিটির সভাপতি/সম্পাদক কর্তৃক নির্ধারিত মন্দির পরিচর্যা, ভক্তদের প্রসাদ বিতরণসহ অন্যান্য কার্যাদি সম্পাদন করবেন।

অপর শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, কোন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত হবেন না বা একই ধরনের অপরাধ আর করবেন না। শান্তি বজায় রাখবেন এবং ভালো ব্যবহার করবেন। তারা কোর্ট এবং আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা তলব করলে যথাসময়ে উপস্থিত হবেন। কোনোরূপ মাদক বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করবেন না।

আদেশে বলা হয়, প্রবেশনার আসামিরা প্রবেশনের কোনো শর্ত ভঙ্গ করলে বা তাদের আচরণ সন্তোষজনক না হলে তাদের প্রবেশন বাতিল করা হবে এবং অপরাধের জন্য শাস্তি ভোগ করবেন। এই সময়ের মধ্যে আসামিরা উপযুক্ত জিম্মাদারের মাধ্যমে জামিনে থাকবেন এবং জামিননামা দাখিল করবেন, প্রবেশনের সব শর্ত পালন করবেন মর্মে বন্ড দাখিল করবেন। প্রবেশন কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এই আদেশের সব শর্ত প্রতিপালন হচ্ছে কি না তা নিয়মিত তত্ত্বাবধান ও তদারকি করে তিন মাস পরপর আদালতকে অবহিত করবেন।

মঙ্গলবার মাদক মামলায় এই রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের প্রধান কৌঁসুলি উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের আইনজীবী মিফতাহ্ উদ্দিন আহমদ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সংশোধনের সুযোগ দিয়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া আসামি স্বামী-স্ত্রীকে প্রবেশন সাজা দিয়েছেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) প্রবেশনের সুযোগপ্রাপ্ত দুই আসামিকে প্রবেশন কর্মকর্তার (সমাজসেবা কর্মকর্তা) নিকট উপস্থাপন করা হবে।

রাজীব কুমার দেব ইতোমধ্যে আরো বেশ কয়েকটি মামলায় আলোচিত এবং যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন।