ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সিএমপি চান্দগাঁও থানায় অভিযানে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার-০৯ Logo বোয়ালখালীতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা পেতে প্রসূতির দুর্ভোগ Logo মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যা : বিচার দাবিতে বোয়ালখালী উপজেলায় সড়ক অবরোধ Logo “লাখ লাখ বেকার সৃষ্টির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: মোস্তাক খান” Logo “মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে স্কুল পর্যায়ে খেলাধুলার ওপর জোর দিচ্ছে বিএনপি:মীর হেলাল” Logo অস্ত্র, মাদক ও চাঁদাবাজির অভিযোগে বোয়ালখালীতে ৪ জন আটক Logo বোয়ালখালীতে আওয়ামী নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বিএনপির বিক্ষোভ Logo বোয়ালখালীতে বল বাড়িতে ডাকাতি, যুবক আহত Logo ব্যাটারিরিকশা বিরোধী অভিযানে উত্তপ্ত চট্টগ্রামের বাহির সিগন্যাল ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা। Logo বোয়ালখালীতে আউশ আবাদে প্রণোদনা পেলেন ৩০০ কৃষক
ই-পেপার দেখুন

এজলাসে ঢুকে ভিডিওধারণ, ‘শাস্তি’ এক ঘণ্টা কাঠগড়ায়

আদালতের কার্যক্রম চলাকালে এজলাস কক্ষে ঢুকে ভিডিও ধারণের অপরাধে এক ব্যক্তিকে এক ঘণ্টা কাঠগড়ায়  দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় তার মোবাইল জব্দ করা হয়। লিখিতভাবে ভুল স্বীকারের পর তাকে আদালত ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ মোছাম্মৎ ইশরাত জাহান নাসরিনের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অনুপ কুমার চৌধুরী স্বপন জানান, বেলা ১২টার দিকে ওই ব্যক্তি আদালতের বারান্দা থেকে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে করতে এজলাস কক্ষে ঢুকে যান। তখন বিচারক এজলাসে ছিলেন। এজলাসের ভেতরে ভিডিও করার সময় এক আইনজীবী তাকে দেখেন। তিনি মোবাইল বন্ধ করার কথা বলার পরও ওই ব্যক্তি ভিডিও ধারণ অব্যাহত রাখেন।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে কয়েকজন আইনজীবী মিলে তাকে ধরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এ সময় ওই ব্যক্তি তার নাম তৌহিদুল আলম এবং নিজেকে এশিয়ান টেলিভিশনের ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দেন। পরে আদালত তার মোবাইল জব্দের আদেশ দিয়ে তাকে কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানোর নির্দেশ দেন।
জানতে চাইলে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরুল আলম বলেন, ‘এক ঘণ্টারও কিছু বেশিসময় তাকে আদালতের নির্দেশে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। নিয়মিত কার্যক্রম শেষে বিচারক উনাকে ভিডিও ধারণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। উনি এশিয়ান টিভির ঢাকার সাংবাদিক পরিচয় দেন। পরে ভিডিও ধারণের জন্য লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করার জন্য আদালত তাকে সতর্ক করেন। আদালতের নির্দেশে ধারণ করা ভিডিও মোবাইল থেকে মুছে ফেলা হয়। এরপর মোবাইল ফেরত দিয়ে বিচারক তাকে আদালত ত্যাগের নির্দেশ দেন।

শুধু তাই নই তার বিরুদ্ধে  বেশ অভিযোগ রয়েছে চট্টগ্রামে নগরীতে  তার সাংবাদিক পরিচয়ে ২৫-৩০টি অটো-রিক্সা সিএনজি চলে যে গাড়িগুলো থেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে আদায় করে। দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেনকে ও সাংবাদিক পরিচয়ে বেশ হুমকি দুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।

ট্যাগস :

আপনার মতামত লিখুন

সিএমপি চান্দগাঁও থানায় অভিযানে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার-০৯

এজলাসে ঢুকে ভিডিওধারণ, ‘শাস্তি’ এক ঘণ্টা কাঠগড়ায়

আপডেট সময় ১১:৫৩:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০২২

আদালতের কার্যক্রম চলাকালে এজলাস কক্ষে ঢুকে ভিডিও ধারণের অপরাধে এক ব্যক্তিকে এক ঘণ্টা কাঠগড়ায়  দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। এ সময় তার মোবাইল জব্দ করা হয়। লিখিতভাবে ভুল স্বীকারের পর তাকে আদালত ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামের প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ মোছাম্মৎ ইশরাত জাহান নাসরিনের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অনুপ কুমার চৌধুরী স্বপন জানান, বেলা ১২টার দিকে ওই ব্যক্তি আদালতের বারান্দা থেকে মোবাইলে ভিডিও ধারণ করতে করতে এজলাস কক্ষে ঢুকে যান। তখন বিচারক এজলাসে ছিলেন। এজলাসের ভেতরে ভিডিও করার সময় এক আইনজীবী তাকে দেখেন। তিনি মোবাইল বন্ধ করার কথা বলার পরও ওই ব্যক্তি ভিডিও ধারণ অব্যাহত রাখেন।
তিনি আরও জানান, এক পর্যায়ে কয়েকজন আইনজীবী মিলে তাকে ধরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন। এ সময় ওই ব্যক্তি তার নাম তৌহিদুল আলম এবং নিজেকে এশিয়ান টেলিভিশনের ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দেন। পরে আদালত তার মোবাইল জব্দের আদেশ দিয়ে তাকে কাঠগড়ায় এনে দাঁড় করানোর নির্দেশ দেন।
জানতে চাইলে ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী নুরুল আলম বলেন, ‘এক ঘণ্টারও কিছু বেশিসময় তাকে আদালতের নির্দেশে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছিল। নিয়মিত কার্যক্রম শেষে বিচারক উনাকে ভিডিও ধারণের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। উনি এশিয়ান টিভির ঢাকার সাংবাদিক পরিচয় দেন। পরে ভিডিও ধারণের জন্য লিখিতভাবে ভুল স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড না করার জন্য আদালত তাকে সতর্ক করেন। আদালতের নির্দেশে ধারণ করা ভিডিও মোবাইল থেকে মুছে ফেলা হয়। এরপর মোবাইল ফেরত দিয়ে বিচারক তাকে আদালত ত্যাগের নির্দেশ দেন।

শুধু তাই নই তার বিরুদ্ধে  বেশ অভিযোগ রয়েছে চট্টগ্রামে নগরীতে  তার সাংবাদিক পরিচয়ে ২৫-৩০টি অটো-রিক্সা সিএনজি চলে যে গাড়িগুলো থেকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে আদায় করে। দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেনকে ও সাংবাদিক পরিচয়ে বেশ হুমকি দুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে ।